ধ্বংসস্তূপে সেঞ্চুরির ফুল ফোটালেন ব্রুক-স্মিথ
Published: 5th, July 2025 GMT
দিনের দ্বিতীয় ওভারে পরপর ২ বলে ২ উইকেট। আগের দিন ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট নিয়ে এগিয়ে ছিল ভারত। শুক্রবার তৃতীয় দিনে সাত সকালে আরো ২ উইকেটে স্বাগতিকদের প্রবল চাপে ফেলে দেয় ভারত। তাদের করা ৫৮৭ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ৮৪।
এরপরই শুরু হয় ইংলিশদের কড়া শাসন। শুরু হয় হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথের অভিযান। ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রথমে দলকে টেনে তোলেন। এরপর ভারতের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে এলোমেলো করে দেন। জুটি গড়েন ৩০৩ রানের। সেঞ্চুরির ফুল ফুটিয়েছেন দুজনই। দেড়শও পেরিয়ে যান তারা।
ব্রুক আটকে যান ১৫৮ রানে। স্মিথকে থামাতে পারেন না কেউ। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের পথে অনায়েসেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। কিন্তু সতীর্থরা কেউ সঙ্গ না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে নটআউট ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ইংল্যান্ড করতে পারে ৪০৭ রান। ১৮০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ভারত দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে। তাদের লিড ২৪৪ রানের।
তৃতীয় দিনের খেলার শুরুতে পরপর ২ উইকেট এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। প্রথমে জো রুটকে ২২ রানে পান্তের তালুবন্দি করেন। পরের বলেই ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস পান্তকে ক্যাচ দেন। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা হজম করে ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ব্রুক ও স্মিথ ৩০৩ রান যোগ করেন। যা ইংল্যান্ডের ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসের ষষ্ঠ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে কেপটাউনে জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস ৩৯৯ রান করেছিলেন। জুটি গড়ার সময় স্মিথ ছিলেন মারমুখী। ৮০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ব্রুক ধীরেই এগিয়েছেন। তবে সেঞ্চুরি পেতে সমস্যা হয়নি।
দিনের শেষ সেশনে এই জুটি ভাঙেন আকাশ দ্বীপ। ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার বলে বিভ্রান্ত হয়ে আউট হন ব্রুক, ১৫৮ রানে। ২৩৪ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। তার ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। পরের চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
তাতে ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও পাওয়া হয়নি স্মিথের। ২০৭ বলে ২১ চার ও ৪ ছক্কায় ১৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান।
ভারতের হয়ে সিরাজ ৬টি ও আকাশ ৪টি উইকেট নেন।
বিশাল লিড নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান পায়। এরপর পেসার টংয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন ইয়াসভি জয়সওয়াল। দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন রাহুল (২৮) ও করুণ নায়ার (৭) ।
আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনের উপর নির্ভর করবে টেস্টের গতিপথ। প্রথম টেস্ট হারায় ভারত পিছিয়ে আছে। এজবাস্টনে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট প রথম য টসম
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের খোঁজে ৪৮ বছর পর চুনারুঘাটে
৬ বা ৭ বছর বয়সে হারিয়ে যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে। এরপর ৪২ বছর কেটে গেছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুটির বয়স এখন ৪৮ বছর। সুনামগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ব্যক্তি জানেন না, তাঁর আসল নাম-পরিচয়। শুধু এটুকু মনে আছে, তাঁর জন্মভূমি চুনারুঘাট।
জাহাঙ্গীর নামের এই ব্যক্তি এখন
চুনারুঘাটে খুঁজছেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিকড়। বৃহস্পতিবার তিনি সুনামগঞ্জ থেকে চুনারুঘাট এসে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর বাবা-মাকে খুঁজে পেতে সহায়তা চান।
জাহাঙ্গীর জানান, ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাতগাঁও গ্রামের এক ব্যক্তির হাতে পড়েন। তাঁর নাম জারু মিয়া। তিনিই তাঁকে ‘ছেলে’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে (জাহাঙ্গীর) বিয়ে দেন। বর্তমানে তাঁর চার সন্তান। তবে জারু মিয়া মৃত্যুর আগে তাঁর দুই সন্তানকে সম্পদ দিয়ে গেলেও তাঁকে (জাহাঙ্গীর) কিছুই দেননি। এতে তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দেয়, জারু মিয়া হয়তো তাঁর প্রকৃত বাবা ছিলেন না। এরপর এলাকার মানুষের মুখে শুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর শৈশবকাল কেটেছে চুনারুঘাটে।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর অবস্থান করছেন মিরাশী ইউনিয়নের চামলতলী গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে। তিনি চুনারুঘাটবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যদি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে কোনো পরিবার তাদের ৬/৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান হারিয়ে থাকে, তারা যেন যোগাযোগ করেন।
ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামল বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে, যাতে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যায়।