যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কারভিল শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নিখোঁজদের মধ্যে ২৫ শিশু রয়েছে, যারা একটি সামার ক্যাম্পে ছিল।

স্থানীয় গুয়াদালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৬ ফুট (প্রায় ৮ মিটার) বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করেছে। এতে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, সড়কপথ বিচ্ছিন্ন এবং বহু গাড়ি ভেসে গেছে।

টেক্সাসের প্রশাসন পরিস্থিতিকে ‘প্রাণঘাতী ও অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঘোষণা করে বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বড় পরিসরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ২৫ শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে ওইসব শিশু হারিয়ে গেছে। তারা হয়তো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.

..
 

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আবারও জয়সোয়ালের আউট নিয়ে বিতর্ক, শরফুদ্দৌলার ওপর খেপলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক

ব্যাটিংয়ে যশস্বী জয়সোয়াল আর আম্পায়ারিংয়ে শরফুদ্দৌলা সৈকত—এমন পরিস্থিতিতে কিছু একটা যেন ঘটবেই। গত কয়েক মাসের একাধিক ঘটনা তা-ই বলে। এবার এজবাস্টন টেস্টে আবারও আলোচনায় ভারতীয় ওপেনার ও বাংলাদেশি আম্পায়ার।

না, দুজনে একে অপরের মুখোমুখি হয়ে পড়েননি। বরং জয়সোয়ালকে নিয়ে শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তে বিতর্কে জড়িয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে দিন শেষে যা হয়েছে, তাতে শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

ঘটনাটি ইংল্যান্ড-ভারত দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বিকেলের। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে জয়সোয়ালের বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন করেন ইংলিশ পেসার জশ টাং। দায়িত্বে থাকা শরফুদ্দৌলার আঙুল তুলে জয়সোয়ালকে আউট ঘোষণা করেন।

সিদ্ধান্তটি ইংল্যান্ডকে খুশি করলেও জয়সোয়াল ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন কি না, এ নিয়ে কথা বলেন সঙ্গী লোকেশ রাহুল। বেশ সময় নিয়েই রিভিউ নেওয়ার কথা জানান জয়সোয়াল, নিয়মানুযায়ী শরফুদ্দৌলা সেটি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন।

ঘটনার এ পর্যায়ে স্টোকস ছুটে যান শরফুদ্দৌলার দিকে। তাঁর দাবি, রিভিউ নেওয়ার ১৫ সেকেন্ডের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। রিভিউ নেওয়ার সুযোগ আর নেই। এ সময় শরফুদ্দৌলা তাঁকে জানান, সময়ের মধ্যেই জয়সোয়াল রিভিউ নিয়েছেন। তবে নিয়মের মধ্যেই রিভিউ হয়েছে জানালেও স্টোকস সেটি মানতে রাজি নন। বেশ কিছুটা সময় স্টোকস তর্ক করে যেতে থাকেন আম্পায়ারের সঙ্গে। এর মধ্যে ম্যাচের অপর আম্পায়ার ক্রিস গাফানিও এসে যোগ দেন। পুরো দৃশ্যপটে স্টোকসকে বেশ অসন্তুষ্ট দেখা গেছে।

এদিকে টিভি আম্পায়ার পল রাইফেল পর্যালোচনা করে দেখতে পান, জয়সোয়াল আউটই ছিলেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার পর মাঠ ছাড়েন জয়সোয়াল, ভারত হারায় একটি রিভিউ। অর্থাৎ শরফুদ্দৌলার আউটের সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল—মাঝখানে জয়সোয়ালের মনে হয়েছে আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত দেননি, স্টোকসের মনে হয়েছে আম্পায়ার নির্ধারিত সময়ের পরে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

এর আগে ভারতের প্রথম ইনিংসেও জয়সোয়ালের বিরুদ্ধে আউটের আবেদনে সঠিক ছিলেন শরফুদ্দৌলা। তখন ক্রিস ওকসের বলে জয়সোয়ালকে এলবিডব্লু দেননি শরফুদ্দৌলা, সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ স্টোকস রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ার্স কল’ বহাল থাকে। গত ডিসেম্বরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মেলবোর্ন টেস্টে জয়সোয়ালকে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে আউট দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা।

চলমান ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে এজবাস্টন টেস্টসহ দুটি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার কথা শরফুদ্দৌলার। এখন পর্যন্ত এজবাস্টন টেস্টে ৭টি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ব্রাইডন কার্সের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ সিরাজের এলবিডব্লুর নটআউট সিদ্ধান্ত বাদে আর একটিও সফল হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ