যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার হঠাৎ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন একটি ক্যাম্পে থাকা প্রায় ২৩ জন মেয়েশিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মৌসুমি বৃষ্টির কারণে গুয়াদালুপে নদীর পানি প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে গ্রীষ্মকালীন ওই ক্যাম্পটি নদীর ধারেই ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর টেক্সাস হিল কান্ট্রির কার কাউন্টির কিছু এলাকায় বন্যার  জরুরি সতর্কতা  ঘোষণা করেছে। সান অ্যান্টোনিও শহর থেকে প্রায় ৬৫ মাইল (১০৫ কিমি) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই এলাকায়  বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

কার কাউন্টির  কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ড্যালটন রাইস সাংবাদিকদের জানান, ভোর হওয়ার আগেই হঠাৎ করে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। আগেভাগে কোনো সতর্কতা দেওয়ার সুযোগ পাননি তারা। খুব দ্রুতই গুয়াদালুপে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়। রাইস বলেন, পুরো ঘটনাটি দুই ঘণ্টারও কম সময়ে ঘটেছে। এত দ্রুত বন্যা হয়েছে যে রাডার দিয়েও আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয়নি।

গুয়াদালুপ নদীর ধারে বন্যাপ্লাবিত এলাকা দেখছেন তাঁরা। ৪ জুলাই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে: ট্রাম্প

হামাস গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক সাড়া’ দেওয়ার কথা জানানোর পর গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা বেশ ভালো’।

এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। তবে বর্তমান আলোচনার কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে তিনি।

গাজায় নতুন একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আলোচনায় সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাজ করবে।

ট্রাম্প হামাসকেও তাঁর ভাষায় ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন, এর (নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি) চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না; বরং পরিস্থিতি আরও খারাপই হবে (চুক্তি না মানলে হামাসের জন্য ফলাফল আরও খারাপ হবে)।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশ থেকে ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এরপর বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তারা একটি ইতিবাচক জবাব জমা দিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার নতুন পর্বে তাৎক্ষণিকভাবে অংশ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।

হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনায় তাদের সমর্থন জানিয়েছে। তবে সশস্ত্র সংগঠনটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চেয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বেশির ভাগ এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ