যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার হঠাৎ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন একটি ক্যাম্পে থাকা প্রায় ২৩ জন মেয়েশিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মৌসুমি বৃষ্টির কারণে গুয়াদালুপে নদীর পানি প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে গ্রীষ্মকালীন ওই ক্যাম্পটি নদীর ধারেই ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর টেক্সাস হিল কান্ট্রির কার কাউন্টির কিছু এলাকায় বন্যার  জরুরি সতর্কতা  ঘোষণা করেছে। সান অ্যান্টোনিও শহর থেকে প্রায় ৬৫ মাইল (১০৫ কিমি) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই এলাকায়  বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

কার কাউন্টির  কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ড্যালটন রাইস সাংবাদিকদের জানান, ভোর হওয়ার আগেই হঠাৎ করে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। আগেভাগে কোনো সতর্কতা দেওয়ার সুযোগ পাননি তারা। খুব দ্রুতই গুয়াদালুপে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়। রাইস বলেন, পুরো ঘটনাটি দুই ঘণ্টারও কম সময়ে ঘটেছে। এত দ্রুত বন্যা হয়েছে যে রাডার দিয়েও আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয়নি।

গুয়াদালুপ নদীর ধারে বন্যাপ্লাবিত এলাকা দেখছেন তাঁরা। ৪ জুলাই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ