কান্নাভেজা ম্যাচে আল হিলালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্লুমিনেন্স
Published: 5th, July 2025 GMT
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছিল আল-হিলাল। কিন্তু জয়ের সেই ধারা শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে আর ধরে রাখতে পারল না সৌদি আরবের ক্লাবটি। শুক্রবার রাতে ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্লুমিনেন্সের কাছে হেরে শেষ আটেই থেমে গেছে আল হিলালের দৌড়। আর এই ম্যাচে ২-১ গোলের জয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্লুমিনেন্স।
ফ্লোরিডায় ম্যাচ শুরুর আগে স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলোর কান্না ছুঁয়ে যায় বাকিদেরও। কান্না ও আবেগ আড়াল করেই শুরু হয় সেমিফাইনালের লড়াই।
মাঠের লড়াইয়ে ফ্লুমিনেন্সের চেয়ে আল হিলালের দাপটই ছিল বেশি। ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৫ শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে তারা। বিপরীতে ৪২ শতাংশ বলের দখল রাখা ফ্লুমিনেন্স ১০ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ৩টি। কিন্তু বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোল করার আসল কাজটিই ঠিকঠাক করতে পারেনি আল হিলাল।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিল যেখানে ১০০–তে ১০০ ২৩ জুন ২০২৫ম্যাচে দুই দলই অবশ্য শুরুতে সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে। উভয় দলই চেষ্টা করছিল ফাঁকা জায়গা বের আক্রমণে যাওয়ার, যেখানে ফ্লুমিনেন্সের চেয়ে আল হিলাল এগিয়ে থাকলেও গোল পায়নি তারা। ৪০ মিনিটে আল হিলালকে হতাশ করে প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় ফ্লুমিনেন্সই। দারুণ এক আক্রমণে বক্সের ভেতর পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মাথেউস মার্তিনেল্লি। এই গোল নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
শ্রদ্ধা জানানো হয় দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি, সড়কে ভোগান্তি
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে আজ শনিবার সারা দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দিনই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, সাগর থাকবে উত্তাল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বৃষ্টিতে নগরের ভাঙা সড়কগুলো আরও বেহাল হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজ সকাল ৯টার পর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, সাগর উত্তাল থাকায় ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকবে। দিনের প্রথম জোয়ার শুরু হয়েছে গতকাল রাত ২টা ২৭ মিনিটে। ভাটা হয় আজ সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে। দ্বিতীয় ধাপে জোয়ার শুরু হবে বেলা ৩টা ৯ মিনিটে, আর ভাটা রাত ৯টা ৪ মিনিটে।
সকালের বৃষ্টিতে অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি দেখা যায়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয় নগরের ২ নম্বর গেট এলাকায়। নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় তাঁর অফিস। মিসবাহ বলেন, তাঁর বাসা রৌফাবাদের সমবায় আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কে। বৃষ্টির কারণে এলাকার মাটির সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি সড়ক এখন বেহাল। এর মধ্যে নগরের প্রধান সড়ক যেমন রয়েছে, তেমনি অলিগলির সড়কও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নগরের স্ট্র্যান্ড রোড, হাটহাজারী সড়ক, ফকির মোহাম্মদ সড়ক, কবির আহমদ সওদাগর সড়ক, আকমল আলী সড়ক, প্রাণহরি দাস সড়ক, হালিশহর আবাসিক এলাকার একাধিক সড়ক, শুলকবহরের আবদুল হামিদ সড়ক, নূর আহমদ সড়ক, জুবিলী সড়ক, আমবাগান সড়ক, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়ক, সিডিএ অ্যাভিনিউ, কে বি আমান আলী সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়ক ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন, বছরের পর বছর ধরে সড়কগুলো ঠিকভাবে সংস্কার করা হয় না। মাঝেমধ্যে সংস্কার করা হলেও তা জোড়াতালির সংস্কার। বৃষ্টি কিংবা ভারী গাড়ি চলাচল করলে অল্প দিনের মধ্যে সড়কগুলো ভেঙে পুরোনো চেহারায় ফেরে। এই কারণে তাঁরা যাতায়াতে যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে নগরের বেশ কিছু সড়কের অবস্থা খারাপ। সুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ওয়াসা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ বিভিন্ন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করছে। এসব কারণে কয়েকটি সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই মুহূর্তে বড় ধরনের সংস্কার করা যাচ্ছে না। আপাতত প্রাথমিকভাবে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে।