২০২৩–২৪ মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়েন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সে সময় ক্লান্তির কারণে দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান লিভারপুলের পুনরুত্থানের এই নায়ক। লিভারপুল ছাড়ার পর কিছুদিন বিশ্রামেই ছিলেন ক্লপ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জানা যায়, আবার ফুটবলে ফিরতে যাচ্ছেন ক্লপ। তবে কোচ নয়, ক্লপ ফিরছেন রেড বুলের ‘হেড অব গ্লোবাল সকার’ হয়ে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এর মধ্যে কদিন আগে আবারও ক্লপের ডাগআউটে ফেরার গুঞ্জন শোনা যায়। ক্লপের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে শোনা যায় রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের কথা। ব্রাজিল অবশ্য কার্লো আনচেলত্তিকে এরই মধ্যে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এবং রিয়ালের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে জাবি আলোনসোর যোগ দেওয়াও অনেকটা নিশ্চিত।

ফলে ক্লপের ডাগআউটে ফেরার গুঞ্জনটা গুঞ্জনই থেকে গেছে। সে সময় ক্লপের এজেন্ট মার্ক কোসিকে জোর দিয়ে জানান, এই মুহর্তে তাঁর ক্লায়েন্টের রিয়াল মাদ্রিদ বা ব্রাজিলের কোচ হয়ে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুনইয়ুর্গেন ক্লপ: ব্ল্যাক ফরেস্টের সাধারণ একজন থেকে লিভারপুলের পুনরুত্থানের নায়ক১৮ মে ২০২৪

এরপরও অবশ্য থামছে না ক্লপের কোচিংয়ে ফেরার গুঞ্জন। সম্প্রতি ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা স্টাম্পা জানায়, ক্লপ নিজের মন পরিবর্তন করেছেন এবং এএস রোমার কোচ হতে যাচ্ছেন।

রেড বুলের গ্লোবাল সকারের প্রধান ইয়ুর্গেন ক্লপ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ