ক্লপ কি দিবালাদের কোচ হচ্ছেন, কী বললেন তাঁর এজেন্ট
Published: 20th, May 2025 GMT
২০২৩–২৪ মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়েন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সে সময় ক্লান্তির কারণে দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান লিভারপুলের পুনরুত্থানের এই নায়ক। লিভারপুল ছাড়ার পর কিছুদিন বিশ্রামেই ছিলেন ক্লপ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জানা যায়, আবার ফুটবলে ফিরতে যাচ্ছেন ক্লপ। তবে কোচ নয়, ক্লপ ফিরছেন রেড বুলের ‘হেড অব গ্লোবাল সকার’ হয়ে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এর মধ্যে কদিন আগে আবারও ক্লপের ডাগআউটে ফেরার গুঞ্জন শোনা যায়। ক্লপের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে শোনা যায় রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের কথা। ব্রাজিল অবশ্য কার্লো আনচেলত্তিকে এরই মধ্যে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এবং রিয়ালের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে জাবি আলোনসোর যোগ দেওয়াও অনেকটা নিশ্চিত।
ফলে ক্লপের ডাগআউটে ফেরার গুঞ্জনটা গুঞ্জনই থেকে গেছে। সে সময় ক্লপের এজেন্ট মার্ক কোসিকে জোর দিয়ে জানান, এই মুহর্তে তাঁর ক্লায়েন্টের রিয়াল মাদ্রিদ বা ব্রাজিলের কোচ হয়ে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুনইয়ুর্গেন ক্লপ: ব্ল্যাক ফরেস্টের সাধারণ একজন থেকে লিভারপুলের পুনরুত্থানের নায়ক১৮ মে ২০২৪এরপরও অবশ্য থামছে না ক্লপের কোচিংয়ে ফেরার গুঞ্জন। সম্প্রতি ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা স্টাম্পা জানায়, ক্লপ নিজের মন পরিবর্তন করেছেন এবং এএস রোমার কোচ হতে যাচ্ছেন।
রেড বুলের গ্লোবাল সকারের প্রধান ইয়ুর্গেন ক্লপ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রেকর্ড গড়ল লেভারকুসেন, বিদায় নিলেন আলোনসো
মেইঞ্জ ২, লেভারকুসেন ২। গতকাল বুন্দেসলিগায় মেওয়া অ্যারেনার ম্যাচটিতে কেউ না জিতলেও হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে লেভারকুসেন। না, ২–২ ড্রয়ে শিরোপা জেতেনি দলটি। বরং গত বছর বুন্দেসলিগা জেতা দলটি এ মৌসুমে সেটি বায়ার্ন মিউনিখের কাছে খুইয়ে ফেলেছে।
তবে ২০২৪–২৫ বুন্দেসলিগার শেষ দিনের ম্যাচ ড্র করে অনন্য এক কীর্তি গড়েছে লেভারকুসেন। টানা দুই মৌসুম অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত থাকল দলটি। জার্মান ফুটবলে এমন কীর্তি আর কারও নেই। লেভারকুসেনকে অনন্য এক কীর্তির মালিক বানিয়ে এ দিনই ক্লাবটির ডাগআউটের দায়িত্ব শেষ করেছেন জাবি আলোনসো। ৪৩ বছর বয়সী এই স্প্যানিশের রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার জোর গুঞ্জন আছে।
২০২৩–২৪ মৌসুমে বুন্দেসলিগা জয়ের পথে ৩৪ ম্যাচের একটিতেও হারেনি লেভারকুসেন। ঘরে–বাইরে সব ম্যাচেই ন্যূনতম ১ পয়েন্ট হলেও তুলেছে আলোনসোর দল। লিগ শিরোপার পাশাপাশি হাতে তুলেছে জার্মান কাপও। এবার দুটি ট্রফির কোনোটিই জিততে পারেনি দলটি। লিগে ম্যাচও হেরেছে। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে অপরাজেয় ধারা ঠিকই রয়ে গেছে।
গত আসরের মতো এবারও হোমে ১৭টি এবং অ্যাওয়েতে ১৭টি ম্যাচ খেলেছে লেভারকুসেন। এর মধ্যে হেরেছে ৩টিতে, সব কটিই ঘরের মাঠে। অ্যাওয়েতে খেলা ১৭ ম্যাচই অপরাজিত। মেইঞ্জের সঙ্গে ড্র করে টানা দ্বিতীয় মৌসুম অপরাজিত থেকে বায়ার্নের রেকর্ড ভেঙেছে লেভারকুসেন। বায়ার্ন ২০১১–১২ মৌসুমের ৩২তম ম্যাচ থেকে ২০১৩–১৪ মৌসুমের ২৭তম ম্যাচ পর্যন্ত টানা ৩৩টি অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত ছিল।
আবার বায়ার্নের সেই সাফল্য এসেছিল দুজন কোচের হাত ধরে—জাপ হেইঙ্কস ও পেপ গার্দিওলা। লেভারকুসেনে সেটা একা আলোনসোর অধীন। বুন্দেসলিগায় একক কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত থাকার কীর্তিটা উদো ল্যাটেকের ২৭ ম্যাচ (১৯৮৩–৮৭ সময়ে বায়ার্নের কোচ ছিলেন)। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই তাঁকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আলোনসো।
অ্যাওয়েতে অপরাজিত থাকা টানা ৩৪ ম্যাচের মধ্যে লেভারকুসেন জিতেছে ২৩টিতে, ড্র করেছে বাকি ১১টি। আগামী ২২ আগস্ট ২০২৫–২৬ মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ডটা আরও লম্বা করে নেওয়ার সুযোগ পাবে লেভারকুসেন। তবে সে সময় আলোনসো আর ডাগআউটে থাকবেন না।
চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাকি থাকলেও স্প্যানিশ এই কোচ এরই মধ্যে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওদিকে কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিলে চলে যাচ্ছেন বলে তাঁর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তবে জার্মানি ছাড়ার আগে লেভারকুসেনকে অনন্য এক রেকর্ডই উপহার দিয়ে গেলেন আলোনসো।