বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা বার ইউনিটের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎বুধবার (২১ মে) দুপুরে বার ভবনের ৩য় তলায় আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

‎সভায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা বার ইউনিটের সদস্য সচিব এড. কাজী আব্দুল গাফ্ফার এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, আইনজীবী ফোরাম জেলা বার ইউনিটের আহ্বায়ক এড.

জাকির হোসেন।

‎এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঘরানার যেসকল আইনজীবী আছে প্রত্যেকের মধ্যে ঐক্য গঠন করে এদেশের আইনঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়া এবং সাধারণ মানুষের আইনের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এটাই হচ্ছে আইনজীবী ফোরাম গঠনের মূল লক্ষ্য।

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে সেই পরিবর্তন আমাদের মনের মধ্যেও আনতে হবে। জুলাই বিপ্লবে যারা আসামী হয়েছে তাদের কোন কাজ আইনজীবীরা করবেনা। আইনজীবী ফোরামের সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে।

এছাড়াও এবারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অন্যান্যবারের তুলনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হবে। এবারের নির্বাচন সারাদেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমাদেরকে আপনারা বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত করেছেন সেই অপরাধে আমরা অপরাধী হতে চাইনা।

তাই আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের পরেই আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন দিলে সকলের জন্য ভালো হবে। যে ভোটের অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করেছি সেই সুষ্ঠু, অবাধ ভোটের লড়াই আমরা নারায়ণগঞ্জ বারে উপহার দিবো।

‎অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বার ইউনিটের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. বেনজীর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. মেহেবুব আরেফিন শিমু, এড. কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, এড. আসমা হেলেন বিথী, সামছুন নুর বাঁধন৷ এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, বারের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধান, বারের সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সিনিয়র এড. রফিক আহমেদ, পিপি এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র আইনজীবী বারী ভূইয়া সহ প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব ফ র ম ব র ইউন ট র আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ

বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন হফলনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার ১৩ মে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার ও নাঈম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিকল্পনাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিবাদীদের ওই কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক ও আইনি দায়িত্ব। স্বাভাবিক অর্থে বজ্রপাত প্রকৃতির একটি অমোঘ নিয়তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে আধুনিক গবেষণা ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বজ্রপাত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

রিট আবেদনকারী পক্ষের ভাষ্য, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের শিকার হন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে নিহত ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে পাশের দেশ নেপাল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুদকের করা মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস
  • মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিটের ওপর আদেশ পেছাল
  • দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী
  • জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ কেন নয়
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল
  • মাধবপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়, দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড
  • বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ