জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বাংলাদেশ কার্যালয় সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংস্থাটির নাম ব্যবহার করে সংঘটিত প্রতারণামূলক কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করেছে জাইকা।
সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতারকরা জাইকার নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভুয়া সঞ্চয় প্রকল্প, ঋণ সুবিধা ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এর ভিত্তিতে জাইকা প্রতারণামূলক সব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করে এসব ভুয়া প্রচারণার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটি সবাইকে এ ধরনের ভুয়া প্রস্তাব ও বার্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও
পিরোজপুরে কোটি কোটি নিয়ে সমিতির পরিচালক উধাও
এসব প্রতারণামূলক কার্যক্রমের ভুয়া দাবির মধ্যে রয়েছে- জাইকা প্রদত্ত ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধা এবং এ ক্ষেত্রে অগ্রিম অর্থ ও অনেক ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণ ফিও দাবি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কিছু ফেসবুক পোস্টে জাইকার নাম ব্যবহার করে ভুয়া সঞ্চয় প্রকল্প ও চাকরির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে।
অসাধু এসব কার্যক্রমের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে সংস্থাটি জানিয়েছে, জাইকা ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো ঋণ দেয় না। এ ছাড়া চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো ধাপেই জাইকা কোনো প্রকার ফি গ্রহণ করে না। জাইকা সম্পর্কিত সব প্রকৃত তথ্য জাইকার আনুষ্ঠানিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রকাশ করা হয়।
একইসঙ্গে জাইকা সবার প্রতি এ ধরনের সন্দেহজনক বার্তা ও প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য যাচাই করতে এবং প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বচ্ছতা বজায় রেখে নৈতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে জাইকা এবং সংস্থাটি এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাইকা নিয়ে সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা