শেরপুরের গারো পাহাড়ের গজনীতে বন্যহাতির আক্রমণে মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায়ই সীমান্ত সড়কের আশপাশে ও লোকালয়ে হাতির দল বিচরণ করছে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের না হওয়া ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে ৩০ থেকে ৩৫টি বন্যহাতি কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে নালিতাবাড়ীর সমশ্চুড়া থেকে ঝিনাইগাতীর গজনী পাহাড় এলাকায় অবস্থান করছে। দিনের বেলায় গহিন পাহাড়ে অবস্থান করে তারা। সন্ধ্যা হলেই খাবারের খোঁজে নেমে আসে লোকালয়ে। এমনকি দিনের বেলায়ও সীমান্ত সড়কে দেখা যাচ্ছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গারো পাহাড়ের গজনী দরবেশতলা এলাকায় হাতির আক্রমণে আজিজুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। একই রাতে মাত্র দেড় ঘণ্টা পর বাঁকাকুড়া শালবনের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে এফিলিস মারাক (৪৫) নামে আরেকজন হাতির আক্রমণের শিকার হন।

তিন বন্ধুকে নিয়ে হাঁটছিলেন এফিলিস। এ সময় বনের ভেতর থেকে বের হওয়া হাতির দল তাদের তাড়া করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও তিনি বাঁচতে পারেননি। তাঁকে হাতি পা দিয়ে পিষে ও শুঁড় দিয়ে আছড়ে টুকরো টুকরো করে মেরে ফেলে। স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, বন্যহাতির আক্রমণে দু’জনের মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যাচ্ছেন না কেউ।

এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের গান্দিগাঁও এলাকার দলনেতা মো.

নজরুল ইসলাম বলেন, হাতির পাল জঙ্গলে ফেরাতে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। বিকেল থেকে এ পথে গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, হাতির দলটি পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জন র ম ত য এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘যশ ও খ্যাতি পিছলধরা শেওলা-রাস্তা’

শৈশবের প্রিয় মুহূর্ত 

মায়ের সঙ্গে ছোট ভাইকে নিয়ে রেলের কূপে ভ্রমণ। শান্তিনিকেতনে পাঠভবনের দিনগুলোতে খেলার মাঠ।

যখন আপনি নবীন চিত্রশিল্পী

চোখ ভরা স্বপ্ন। আর প্রতিবাদের ভাষায় যা সমর্থন করি না তার বিপক্ষে যা হওয়ার কথা ভেবেছি তা করার চেষ্টা করা। তারই ধারাবাহিকতায় বন্ধুরা মিলে আয়োজন করা হলো প্রথম “সমকালীন নবীন শিল্পীদের প্রদর্শনী ১৯৯১’’ (Contemporary young artist’s exposition 1991).

আড্ডা-তর্কের সঙ্গী যাঁরা

পিতা দেবদাস চক্রবর্তী, শ্রদ্ধেয় মুর্তজা বশীর, সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ, মোহাম্মদ খসরু, সেন্টু রায়, আখতার হুসেন, বন্ধুবর শাহরিয়ার খান, শাহানা হুদা, পুত্র সৃজন...।

প্রথম প্রদর্শনী ঘিরে স্মৃতি

ছোট ছোট জলরঙের ছবিতে (মিনিয়েচার) বড় স্বপ্ন দেখেছি। প্রদর্শনীর আগে সমালোচনা এবং পরামর্শ শোনার জন্য এক সন্ধ্যায় ভূতের গলির বাড়িতে পিতৃবন্ধু কবি শামসুর রাহমান, শিল্পী নিতুন কুন্ডু, মুর্তজা বশীর, সাদেক খান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ এবং সুবীর চৌধুরীর উপস্থিতি। সেই সঙ্গে বশীর চাচার পরামর্শ– শোন গৌতম আমাকে ফতেহ লোহানী বলেছিল “যশ ও খ্যাতি পিছলধরা শেওলা-রাস্তা। তোমার পায়ে ক্রেপের স্যান্ডেল। সাবধানে হাঁটতে হবে নয়তো পিছল খেয়ে পড়বে–’’ কথাটা মনে রেখো।

প্রিয় চিত্রশিল্পী যারা এবং যে কারণে তাঁরা প্রিয়

দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য প্রিয় শিল্পী, বিবিধ কারণে। তবু বলি। কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, রশীদ চৌধুরী, মুর্তজা বশীর, গণেশ পাইন, রামকিঙ্কর বেইজ, মনজিৎ বাওয়া, সোমনাথ হোড়, পিকাসো, মার্ক শাগাল, ডেভিড হকনি... 

এখন যা আঁকছেন–

যা আঁকা শুরু করেছিলাম সেগুলো, তার সঙ্গে নতুন বিষয় এবং এইসব নিয়ে আরও বিশদ বিস্তারের চেষ্টা।

প্রিয় উদ্ধৃতি

‘আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে
আমরা দুজনে সমান অংশীদার;
অপরে পাওনা আদায় করেছে আগে,
আমাদের ’পরে দেনা শোধবার ভার।
তাই অসহ্য লাগে ও–আত্মরতি।
অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
ভ্রান্তিবিলাস সাজে না দুর্বিপাকে।’
—সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
এবং
‘... মরা ছাড়া তোমাদের কিছুই রোচেনা
তোমাদের হিসেবী খাতায় বীর নেই
শহীদ রয়েছে শুধু।’
—হাসান হাফিজুর রহমান v

lগ্রন্থনা-ফরিদুল ইসলাম নির্জন

সম্পর্কিত নিবন্ধ