জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের ব্যাপারে সেনাবাহিনী তার অবস্থান জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে গতকাল রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কিছু কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলে সরকারি দপ্তর, থানায় হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি-ডাকাতিসহ নানা বিশৃঙ্খলা দেখা  যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়। এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই দু-এক দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। তার মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই দিনে ১৯৩ জনের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্যসহ) এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। এ অবস্থায় সবাইকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

যারা আশ্রয় নেন 

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (পরিবারসহ), সাবেক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরিবারসহ), সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (পরিবারসহ), সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম (পরিবারসহ), সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (পরিবারসহ), সাবেক র‍্যাব মহাপরিচালক হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সাবেক ডিআইজি আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি (প্রশাসন) আমিনুল, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, এসবিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, সিটিটিসিপ্রধান মো.

আসাদুজ্জামান, তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক, বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়ার সাবেক জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, বগুড়া জেলার সাবেক পুলিশ সুপার জাকির হাসান, বগুড়ার শাজাহানপুরের ইউএনও মুহসিয়া তাবাসসুম, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা জজ কাজী মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা জজ আল আমিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম, ডিআইজি নূর ই আলম মিনা, রাউজানের ইউএনও অং যাই মারমা, রাউজানের সহকারী  কমিশনার (ভূমি) রিয়াদুল ইসলাম, দামপাড়া থানার কনস্টেবল মাহফুজ, কনস্টেবল তুহিন, হাটহাজারী থানার কনস্টেবল সাহাবুদ্দিন, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মেহেদী হাসান, সজন দে, হালিশহর পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মাসুম, ইব্রাহিম খলিল, খুলশী থানার কনস্টেবল সুবল, পতেঙ্গা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান, হালিশহর থানার এএসআই সুমন, শাহাদর, সাদেব, কনস্টেবল আবু বক্কর, আবুল বাসেদ, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মাসফুকুর রহমান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম, এএল মেম্বার মো. কুরাইশি, মাদারগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির ভিসি আব্দুল মঈন, পুলিশ পরিদর্শক আসিফ, কনস্টেবল দিদারুল, মাসুদ, আরিফ, জাহিদ, কাইয়ুম, ফেরদৌস, কা হায় মং, মেহেদী, ইব্রাহিম, আমির, নায়েক ইদ্রিস, এএসআই রিপন, সুদিপ্তা, সুস্ময়, আবুল কাওছার, লিটন চাকমা, কনস্টেবল সুজ, এএসআই আজিজ এবং ওসি সঞ্জয়।   

সাভারে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্য আছেন– এনএসআইর উপপরিচালক তানভীর আহমেদ খান, এসআই হুমায়ুন কবির, জাহাঙ্গীর, কনস্টেবল আরিফ, সময় প্রিয় চাকমা, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. উজ্জল মোল্লা, প্রদীপ কুমার দাস, মো. আরাফাত উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, রুস্তম আলী, কামাল হোসেন, প্রমিত বড়ুয়া, জেনারুশ ত্রিপুরা, ছোটন দে, ইমরান হোসেন, কামরুজ্জামান, জয়চন্দ্র দে, নিশান মালিদার, মিনহাজ হোসেন, সোহেল রানা, রাশেদুল ইসলাম, সাইফ আলী খান, সুপায়ন দে, দুর্জয় বড়ুয়া, রাশেল শেখ, মিলন মিয়া, ফোরকান মিয়া, জাকির হোসেন, আমিনুর রহমান, প্রান্ত হোসেন, রবিন হোসেন, রিমন মোল্লা, জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, রবিউল আউয়াল, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল ওয়ারেছ, সুমন মিয়া, হাসিবুল হাসান দিপু, আজিজুল ইসলাম, মো. মিতুল, সুজন ইসলাম, রুমন মিয়া, মো. পারভেজ, মাহফুজুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, অমিত হাসান, রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মো. মিন্টু, শামীম হোসেন, রুবেল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রাব্বী হোসেন, মো. সজীব, আ. খালেক, ইকবাল মিয়া, মো. রাসেল ও নিলয় দেবনাথ, আ. আজিজ, ওয়াসিম খান, হাসান শিকদার, সেলিম মিয়া, তপু রায়হান, সাইদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, ফায়াত খান, ইসমাইল হোসেন ফাইম, শরিফ হোসেন, কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল, সাদ্দাম হোসেন, মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান, আব্দুর রশিদ, শামীম হোসেন, তারিকুল ইসলাম, শাহীন উদ্দিন, আব্দুল মালেক, কাওছার আহমেদ, আবু রাসেল, সঞ্জয় কুমার, মিজান ও আবদুর রাজ্জাক।   

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ইউএনও মামুনুর রশিদ (পরিবারসহ), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে, আওয়ামী লীগ সদস্য তাহেরুল ইসলাম (পরিবারসহ), যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সংসদ সদস্যের পিএস সুজন সাত্তার, গাড়িচালক লুৎফর, দেলোয়ার, যশোর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাসান (পরিবারসহ), জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম (পরিবারসহ), খুলনা ইউনিভার্সিটির ভিসি মাহমুদ হাসান, প্রোভিসি হোসনে আরা, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ, এস এম ফয়সাল আহমেদ রানা, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম কামাল হোসেন, মিঠামইন প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান মোল্লা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুন মজুমদার, মিঠামইনের ইউএনও এরশাদ মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোয়াইব সাত-ইল-ইভান, ইটনার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তারিকুল আলম, মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফ কামাল, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন (পরিবারসহ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ড. তানজিমা ইয়াসমিন, ড. গোলাম সাব্বির, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, ডিআইজি আনিসুর রহমান, উপকমিশনার বাধন, এসপি সাইফুল, এসপি রাকিব, উপকমিশনার ওমর ফারুক, অতিরিক্ত উপকমিশনার এটিএম মাইনুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির, নায়েক ফিরোজ, আল মামুন, তৌহিদ, কনস্টেবল সুজাত, সজীব, কাদির, ওমর ফারুক, মেহেদী, স্বপন, সুমন, রোমন, ফারুক, শামীম, জাহিদুর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব (পরিবারসহ), রংপুরের ডিআইজি আবদুল বাতেন, সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদুল ইসলাম, সার্কেল এএসপি মাহিদুর রহমান, গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম (পরিবারসহ), সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহির, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আজবাহার আলী, ডিআইজি জাকির হোসাইন খান, অতিরিক্ত কমিশনার জুবায়েদ হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ সিদ্দিক, সিলেট ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার মাহফুজুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, আলাউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পরীক্ষা কন্ট্রোলার আব্দুল আওয়াল ও সিকিউরিটি অফিসার আব্দুল রাকিব। 

এ তালিকায় আরও আছেন সার্জেন্ট নীলোৎপল সরকার, এসআই মো. রুবেল হোসেন, আজহারুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, এটিএসআই সালাহউদ্দিন খান, শেখ মহিউদ্দিন, এএসআই মো. জাকারিয়া, তানভীর, মো. সাহাবুদ্দিন, আব্দুল্লাহেল বাকী, মো. ওবাইদুল ইসলাম, আবু সালেহ আহম্মেদ, মো. সাহাবউদ্দিন, মো. আশ্রাফুল আলম, মো. খাইরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. তরিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান শাকিল, পলাশ হাসান, মেহেদী হাসান, সোহেল রানা, কৌশিক, ইফতেখার, মো. রাসেল, সাকিব, সাইফুল ইসলাম, শাহ আলম, রনি আহম্মেদ, ইমরান, শাহ আলম, জুনায়েদ আলম, নাহিদ বিন সালাম, শাকিল খান, শামছুজ্জোহা, মো. আউয়াল মিয়া, রফিক, মাহমুদুল হাসান, আল আমিন, তুহিন, মো. আতিকুর রহমান, মো. সাহাবউদ্দিন, মো. মনিরুজ্জামান, আমিনুল, রিয়াদ, মো. সহিদুল ইসলাম, মো. সোহাগ আহম্মেদ, মো. ইসমাইল, মো. কামরুজ্জামান, মো. সহিদুর রহমান, মো. আনিস মিয়া, মো. জুলহাস, মো. সালমান, পলাশ, আরিফ পাঠান, অনিক আহম্মেদ, রাজিব, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. বাবুল মোল্লা, মো. সুজন, মো. রুবেল হক, মো. আ. জলিল, মো. আহসানুল হুদা, শেখ সম্রাট, মো. মিজানুর রহমান, মো. মোশারেফ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আজাহারুল, বিষ্ণু পদ শর্মা, সাদ্দাম খান, হানিফ মিয়া, ইমাম উদ্দিন, আশরাফুল আলম, নওয়াব আলী, সাজ্জাদ হোসেন, মো. শাহজালাল, মো. সাইদুর, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. রাকিব মোল্লা, উজ্জল খান, শফিকুল ইসলাম, বাবুল আক্তার, বিধান, জাহিদুল, সোহেল রানা, মো. মুনজুর রহমান, রবিন, আল মামুন, মো. রানা, মো. মেহেদী হাসান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম, মো. মামুন হোসেন, মো. পারভেজ আহম্মেদ,  মো. সাকিল আহম্মেদ, মো. সুজন মিয়া, মো. খলিলুর রহমান, মো. আকাশ মিয়া, বিশ্বনাথ দত্ত, মো. মোস্তফা কামাল, মো. আজিজুর রহমান, মো. রাসেল, মো. সুজন, মো. তামিম শেখ, নুরনবী নয়ন, কাজী ফোয়াজ মিয়া, মো. জাবির, আলী আজম, ইমদাদুল হাসান, মো. জিয়াউর রহমান, মো. মাহফুজ মিয়া, মো. সেলিম মোল্লা, গৌতম, নূর মোহাম্মদ, মোহা. শফিকুর রহমান, মো. ফরিদ হোসেন, মো. নুরউদ্দিন, মো. নাঈম, নায়েক মো. সেলিম বিশ্বাস, মো. জহিরুল হক, নায়েক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সহিদুল ইসলাম, মো. রাজু, মো. নাজমুল হক, জুয়েল সেন, মো. মামুন হায়দার, সাজ্জাদ হোসেন, আল মিঠন, মো. ইব্রাহিম, মো. আকাশ রানা, মো. রবিউল ইসলাম, অজয় জল দাস, অনিক দাস, মো. সোহেল, জীথ বিশ্বাস, মো. রাসেল রানা, মো. মনির হোসেন, ইমন দাস, মামুন হোসেন, মো. তানভির, রনি মিয়া, মো. নাঈম ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, পারভেজ মুন্না, ইফতেখার হোসেন, মোস্তফা, শংকর চন্দ্র, মোন্নাফ হোসেন, সৌরেন বড়ুয়া, নুর নবীন খান, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, আতাউর আহম্মেদ, শাজীদুল ইসলাম সোহাগ, মো. শমরাট আহমেদ,  মো. মিজানুর রহমান, মো. জাকির হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. রাসেল, রাকিব মন্ডল, মো. খাইরুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান, মো. শামীম হোসেন, মো. মিজানুর রহমান, এনামুল হক, অসীম কুমার,  মো. হাবিবুর রহমান, মো. সুমন মিয়া, মো. আরমান, আবু জাফর, রুবেল মিয়া, অমিতাব রায়, মো. আসলাম হোসেন, মো. আমির হামজা, রাশেদুল ইসলাম রনি, সাধীন মিয়া, মো. নাহিদ হাওলাদার, মো. শাহিন মিয়া, মো. মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন, মো. রুবেল হোসেন, মো. ফয়সাল হোসেন, নায়েক জিয়াউল ইসলাম, রেজওয়ান সিদ্দিক, বিশ্বজিৎ, সুজন, শাহেদ, সফিকুল, শফিকুল, শামীম, ইমরুল, মো. বদিয়ার রহমান, মো. আলমগীর, মো. আব্দুল হক, হাসিবুর রহমান, মো. বাকী সরকার, মতিউর, জহিরুল, অপু বর্মন, সোহেল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও মো. আল আমিন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন ফ জ র রহম ন হ দ ল ইসল ম র ল ইসল ম ক ল ইসল ম পর ব রসহ কর মকর ত র ইউএনও পর স থ ত আসন র স আহম ম দ ল আম ন ম ল হক রক ষ র পর ব র অবস থ সরক র সহক র আহম দ ড আইজ ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

‘মালিককে শাস্তিও দিতে পারি’ বলা ইউএনওর অপসারণ দাবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার সর্বস্তরের ছাত্র–জনতার ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে ইউএনওর অপসারণের দাবি জানানো হয়।

আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা সদরের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তাঁরা সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ঝাড়ুও প্রদর্শন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন ইউএনও যেভাবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ঔদ্ধত্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, তা খুবই ভয়ংকর ও দুঃখজনক। তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর। শেখ হাসিনার মুখ্য সচিবের আপন ভাগনি জামাই।

গত সোমবার ‘অবহিত না করে’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়ে তর্কের জেরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক এ এইচ এম শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুদকের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিদ্যালয়ে এসেই ক্ষুব্ধ হন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এ নিয়ে শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর কথা–কাটাকাটি হয়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে খেপে গিয়ে ইউএনওকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’ এ–সংক্রান্ত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনপ্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি: বাউফলের ইউএনও১৯ মে ২০২৫

এ এইচ এম শহীদুল হক অভিযোগ করে বলেন, ইউএনও আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে (শহীদুল) সমঝোতা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ কারণে তিনি শঙ্কিত।

তবে ইউএনও আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁকে (শহীদুল) কোনো মাধ্যমেই সমঝোতা করার জন্য চাপ দেননি। প্রথমত তিনি (শহীদুল) অনুষ্ঠানের অনুমতি নেননি। এরপর তিনি (শহীদুল) ও তাঁর সঙ্গের লোকজন তাঁর সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। অথচ তাঁর (ইউএনও) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাহিরপুরে ‘পছন্দের লোক দিয়ে’ বাজার ও নৌকাঘাটের খাস আদায় করাচ্ছেন ইউএনও
  • অভিযোগের পর বাতিল চারটি কার্যাদেশ
  • মুক্ত আকাশের স্বাদ পেল খাঁচাবন্দি চার টিয়া
  • অডিও ফাঁস: মিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বদলি
  • আওয়ামী লীগের সময় শুরু হওয়া অবৈধ পুকুর খনন শেষ করার দায়িত্বে ‘বিএনপির লোক’
  • অনুমতি না নিয়ে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ নেতা, ক্ষোভ
  • ‘মালিককে শাস্তিও দিতে পারি’ বলা ইউএনওর অপসারণ দাবি
  • আটঘরিয়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, গ্রেপ্তার নেই