প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও এখন পর্যন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার কৌশল আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ, এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক এরিক ডানহাম জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরি বেশ জটিল। বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো উপায় নেই। সম্ভবত কখনো এমন কোনো উপায় তৈরি করা যাবে না।

সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অনুষ্ঠিত গোল্ডস্মিড্ট সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে শত শত সুপ্ত আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে। এসব আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্থানে হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে ঘন ঘন অগ্ন্যুৎপাত ঘটবে। উত্তর আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড আর রাশিয়ার মতো বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা আগ্নেয়গিরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এটনায় সম্প্রতি অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি মাউন্ট এটনার ১৪তম অগ্ন্যুৎপাত। বিজ্ঞানী পাবলো মোরেনো-ইয়েগার তথ্যমতে, বিভিন্ন হিমবাহ তাদের নিচে থাকা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের চাপকে দমিয়ে রাখতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ সরে যাচ্ছে। এতে আগ্নেয়গিরি থেকে আরও ঘন ঘন ও বড় আকারের বিস্ফোরণের অগ্ন্যুৎপাত দেখা যাবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ থেকে ৭৭ মাইল দূরে অবস্থিত ১১ হাজার ফুট উঁচু আগ্নেয়গিরি মাউন্ট স্পারের ওপরে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে সেখানে অগ্ন্যুৎপাত আসন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মোরেনো-ইয়েগার জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক অগ্ন্যুৎপাতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস জমা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে পৃথিবীর উষ্ণায়ন বাড়বে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন য গ র

এছাড়াও পড়ুন:

আপনিও কি ‘পপকর্ন ব্রেন’-এ ভুগছেন

‘পপকর্ন ব্রেন’ মস্তিষ্কের কোনো রোগ নয়। বরং এটি বিশেষ এক মানসিক অবস্থা, যেখানে আমাদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত এক ভাবনা থেকে আরেক ভাবনায় চলে যায়। পপকর্ন তৈরির সময় যেমন একটার পর একটা দানা ‘পপ’ হতে থাকে, অর্থাৎ হুট করে উঠে আসতে থাকে, তেমনভাবেই ভাবনাগুলো আসতে থাকে মনে।

মনের এ অবস্থাকে বোঝাতেই ‘পপকর্ন ব্রেন’ শব্দযুগল ব্যবহার করা হয়। এ অবস্থায় মানুষ একধরনের অস্থিরতার মধ্যে থাকে। বারবার মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখার একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা কাজ করতে পারে। এমনকি কিছুটা সময় শান্ত হয়ে বসতে হলেও চাপ বোধ করতে পারে।

আরও কিছু বৈশিষ্ট্য

পপকর্ন ব্রেন থাকলে মানুষ সহজেই বিরক্ত হয়ে পড়ে। সব সময় ভালো থাকার জন্য কোনো না কোনো উদ্দীপনা প্রয়োজন হয় তাঁর। হয়তো একটানা নানা রকম রিল দেখতে ভালো লাগছে, একটানা গেমিংয়ের উত্তেজনা ভালো লাগছে, কিন্তু একটানা বসে টেলিভিশন দেখতেও তাঁর ভালো না-ই লাগতে পারে। টেলিভিশনের সামনে বসলেও চোখ থাকতে পারে মুঠোফোনে।

সব সময় ভালো থাকার জন্য কোনো না কোনো উদ্দীপনা প্রয়োজন হয় তাঁর

সম্পর্কিত নিবন্ধ