হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থী। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এ দেশের মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ বুধবার হেফাজতে ইসলামের সিলেট মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরীর দরগাহ গেটে একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় মাওলানা ইসলামাবাদী বলেন, ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদের বক্তব্য চরম আপত্তিকর।’ হেফাজত এ বক্তব্যের নিন্দা ও ধিক্কার জানায়। তিনি উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদের অপসারণ দাবি করেন। 

সিলেটে হেফাজতে বিভক্তি এমন প্রশ্নের জবাবে জালালাবাদী বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির বাইরে কেউ যদি হেফাজতের নাম নিয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালায় তবে সে দায়ভার আমাদের নয়। আমাদের মধ্যে কোনো বিদ্রোহীও নেই। তাই আর কেউ হেফাজতের নাম ব্যবহার করলে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

মহানগর সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আসজাদ আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন মহানগর শাখার উপদেষ্টা দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাসুক উদ্দিন, জালালাবাদ ইমাম সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মুজাম্মিল হোসাইন চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করীম জালালি, সহ-সভাপতি নোমানী চৌধুরী, মহানগর শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান প্রমুখ। 

১৮৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: এর আগে মহানগর শাখার ১৮৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আসজাদ আহমদ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রয়েছেন- সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী রহমতুল্লাহ, মাওলানা মুখলিছুর রহমান রাজাগঞ্জী, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, মাওলানা হাফিজ তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা মুজাম্মিল হক্ব তালুকদার, মাওলানা শায়খ সাইফুল্লাহ, মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইলয়াছ, মাওলানা এমরান আলম, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা জুবায়ের আহমদ খান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হুসাইন আহমদ। সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রশীদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খাসদবিরী, মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, মাওলানা হাফেজ মঞ্জুরে মাওলা। অর্থ সম্পাদক মাওলানা আহমদ কবির, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম মুশতাক, মুফতি কয়েস আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির ডালিম, মাওলানা ফখরুজ্জামান। প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল হক নোমানী, সহ-প্রচার সম্পাদক হাফিজ ফখরুদ্দিন রুস্তুম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মাছুম আহমদ, মাওলানা সদরুল আমীন, মাওলানা হাফিজ শরীফ উদ্দীন, সাংবাদিক মো.

রেজাউল হক ডালিম, মাওলানা আমীন আহমদ রাজু। অফিস সম্পাদক হাফিজ মাওলানা জিয়াউর রহমান, সহ-অফিস সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুল্লাহ মায়মুন। সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ মুসাদ্দিক আহমদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি মুহাম্মদ উবায়েদ, মাওলানা হাফিজ আব্দুল্লাহ নেজামী, মাওলানা জুনাইদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা হাফিজ রিয়াজ আল মামুন। আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলী, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট মুশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট নোমান আহমদ, অ্যাডভোকেট মুহিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল হক, দা'ওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মুফতি জিয়াউর রহমান। সহ-দা'ওয়াহবিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মাওলানা হাফিজ শিব্বির আহমদ, মাওলানা হাফিজ আহমদ সগীর, মাওলানা আব্দুল মান্নান আজাদ চৌধুরী, মাওলানা মাশুক আহমদ, মাওলানা আবুল খয়ের। এছাড়া সদস্যরা হলেন- মাওলানা নজমুদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা মুজিবুর রহমান কাসিমী, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা শুয়াইব আহমদ, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মাওলানা হাফিজ ফখরুজ্জামান, মাওলানা মাসুক আহমদ সালামী, মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী, মুফতি রশিদ মকবুল, মাওলানা নেজামুদ্দীন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল মছব্বির, মাওলানা এহতেশামুল হক কাসিমী, মাওলানা মাহতাব উদ্দীন, মাওলানা ইমামুদ্দীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম জাকারিয়া, মাওলানা আছরার আহমদ, পীর আব্দুল জব্বার, মাওলানা মঞ্জুর রশীদ আামিনী, মাওলানা ক্বারী মুখতার আহমদ, মাওলানা আব্দুশ শহীদ, মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন, মাওলানা জুনাইদ আহমদ, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম জালালাবাদী, মুফতি মুজির উদ্দিন ক্বাসিমী, প্রফেসর শাহ আলম, মাওলানা শাহ আশিকুর রহমান, জনাব আব্দুল কাইয়ূম কামাল, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, আব্দুল হান্নান তাপাদার, ডাক্তার মুহাম্মদ ফয়জুল হক, ডাক্তার মাওলানা মুস্তফা আজাদ, মাওলানা মুস্তফা কামাল, মাওলানা জুবাইর আল মাহমুদ, অধ্যক্ষ মাওলানা রওনক আহমদ, এ কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার বুরহান উদ্দীন, মুফতি রাশেদ আহমদ, মাওলানা সাদিক আহমদ, মাওলানা মনসুর আহমদ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা নুর হুসেন, মুফতি আহমদুল হক উমামা, মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির, মাওলানা জামিল মাসরুর, মুফতি সালেহ আহমদ, মাওলানা হাফেজ এনামুল হক জুনাইদ, হাফিজ মাসুম আহমদ, মাওলানা মাসরুর আহমদ, মাওলানা রায়হান আহমদ, মাওলানা মাহমুদ হাসান, মাওলানা হাফেজ জাকারিয়া আল-হাসান, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান শাহজাহান, মাওলানা সানা উল্লাহ, মাওলানা আব্দুল জলীল, মাওলানা ওলিউর রহমান, মুফতি মাহফুজ আহমদ, মাওলানা আহমদ হুসেন, মাওলানা হাফিজ হারুনুর রশীদ, মাওলানা কমর উদ্দীন, এডভোকেট রেজাউল হক, মাওলানা হাফিজ আব্দুস সামাদ, মাওলানা সালিম ক্বাসিমী, মাওলানা শুয়াইব আহমদ, মাওলানা গোলাম রাব্বানী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা ইয়াহিয়া তালহা চৌধুরী, মাওলানা ছাদিকুর রহমান, মাওলানা শফি আহমদ কামরান, মাওলানা শহীদ আহমদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, হাফিজ কয়েছ আহমদ, হাফিজ এখলাছুর রহমান, মাওলানা আবুল হুসেন, হাফিজ সিরাজ উদ্দীন, মাওলানা আব্বাস জালালী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, ক্বারী মৌলভী মুশার্রাফ হুসাইন, মাওলানা হাফেজ মুজাক্কিরুল হক তালুকদার, মাওলানা আব্দুল্লাহ জৈন্তাপুরী, মাওলানা নুর আহমদ কাসেমী, মাওলানা মুহি উদ্দিন, মুফতি বুরহান উদ্দীন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মুফতি শামসুল ইসলাম, মুফতি ফুজায়েল আহমদ, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মস্তফা নাদিম, মাওলানা আবিদ হাসান, মাওলানা আজমল, মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহজাহান, মাওলানা লিয়াকত হুসাইন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা বদরুল ইসলাম, জনাব তাহসিন চৌধুরী, জনাব হিজকিল গুলজার, জনাব আব্দুল ফাত্তাহ, ডাক্তার হেলাল আহমদ, জনাব আব্দুল মালিক মারুফ, মাওলানা আব্দুল হাদী চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল আহাদ নুমানী, জরাব শাহেদ আহমদ, মাওলানা আবুল হুসেন চতুলী, মাওলানা আব্দুল হান্নান, জনাব আব্দুল করিম, হাফিজ মাহমুদ, মাওলানা আব্দূল কাইয়ুম, মাওলানা মুহিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুহিত, মাওলানা আব্দুল হালিম, আহমদুল হক ফয়েজী, রফিকুল ইসলাম বাদল, মনিরুল ইসলাম ফোয়াদ, মাওলানা আজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম নব ধ ক র প র ণ ঙ গ কম ট ম নব ধ ক র র ল ইসল ম ব র রহম ন শ দ আহমদ ম হ ম মদ ইসল ম ব ইসল ম জ ন আহমদ র আহমদ ম আহমদ ক আহমদ হ স ইন র জ উল

এছাড়াও পড়ুন:

দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বিটিসিএলের ৫জি রেডিনেস প্রকল্প চালিয়ে নিতে দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিস্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থেই দুদকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কারণ প্রকল্পটি থমকে গেলে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা গচ্চা যাবে। 

আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ সুবিধায় টেলিকম ব্যবসায়ীরা ১২ বছরে ৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, নতুন টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স নীতিমালা নিয়ে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়েছেন। দেশি কোম্পানি বন্ধ হবে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।

দেশের স্বার্থেই এই উদ্যোগ 
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, বিটিসিএল ফাইবার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর প্রকল্পটি গত সরকারের আমলের। সে সময়ই দরপ্রক্রিয়া প্রভাবিত করা হয়েছে এবং একটা এলসিও করা হয়েছিল। আমি এবং নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার আগে সেই এলসির ২৯০ কোটি পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এই সব কিছু আমলে নিয়ে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিজে ওনার অফিসে গিয়েছি। আমি বলেছি, যেহেতু ২৯০ কোটি টাকা চলে গেছে তাই প্রকল্পটি চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বিটিসিএলের সক্ষমতা বৃদ্ধির আরও একটি ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হয়েছে। ৫জি রেডিনেস প্রকল্পটি শেষ না হলে ওই প্রকল্পটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে বিটিসিএল দুর্বল হয়ে মার্কেট আউট হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি কোম্পানিগুলো এটাই চাইছে। তাই দেশের স্বার্থে বিটিসিএলের প্রকল্প এগিয়ে নিতে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিয়েছি। 

কারো লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না
নতুন টেলিযোগাযোগ নীতিমালা কার্যকর হলে আইসিএক্স, আইজিডব্লিউসহ দেশীয় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করা হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে বিশেষ সহকারী বলেন,  এটা সম্পূর্ণ একটা অপব্যাখ্যা। আমরা বলেছি, কারো লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না। যেটা হবে, যেহেতু এই লাইসেন্সগুলো আন্তর্জাতিক স্তরের বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নেই। আর এত স্তর থাকার জন্য গ্রাহকের প্রতি কলে খরচ বেড়ে যায়। নতুন লাইসেন্স ব্যবস্থায় এ গুলো আর থাকবে না। তাদের নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা করতে হবে। এক্ষেত্রে পুরনো উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর বাইরে যেসব আইসিএক্স, আইজিডব্লিউর লাইসেন্স ২০২৭ সালের দিকে শেষ হবে; তারা চাইলে আউটসোর্সিং হিসেবে বিদ্যমান লাইসেন্সে কাজ করার সুযোগ পাবে। সুতরাং এটা সম্পূর্ণ অপব্যাখ্যা যে দেশীয়দের ব্যবস্থা বন্ধ করা হচ্ছে। 

সরকারের ক্ষতি ৮ হাজার কোটি টাকা
টেলিযোগাযোগ খাতে বিগত সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির উল্লেখ করে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে সাতটি আইজিডব্লিউ অপারেটর আইওএফ নামে একটি সংগঠন গঠন করে। বিটিআরসি এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগ আইওএফকে বৈধতা দিতে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করে, যা প্রায় ১২ বছরব্যাপী পরীক্ষামূলকই ছিল। মোবাইল অপারেটরদের সরাসরি আন্তর্জাতিক কল আনতে নিষিদ্ধ করা হয়। এদিকে আইওএফ প্রতি মিনিটে ০.০৩ ডলারে কল টার্মিনেট করলেও রাজস্ব ঘোষণা করত মাত্র ০.০০৬ ডলার। ২০২৪ সাল নাগাদ প্রকৃত আন্তর্জাতিক টার্মিনেশন রেট ০.০০১ ডলারে নেমে এলেও আইওএফ প্রতি মিনিটে মাত্র ০.০০০৪ ডলারই ঘোষণা করতে থাকে। এইভাবে গত ১২ বছরে সরকারের ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ক্ষতির কারণ হয়েছে। এ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতির পুরোটাই সালমান এফ রহমান গংদের পকেটে ঢুকেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় মেনে নেবে না হেফাজত’
  • ‘ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন জনগণ মেনে নেবে না’
  • বড়লেখায় তিন ইউনিয়নকে জামায়াত নেতা ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বলায় আলোচনা-সমালোচনা, প্রতিবাদ
  • কক্সবাজার সমুদ্রে নিখোঁজ চবির আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার 
  • মিলেমিশে দুই ইজারাদারের সরকারি বালু আত্মসাৎ
  • জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শামিম আহমদ আর নেই
  • দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • দুদক চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চেয়েছি, কোনো নির্দেশ দিইনি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রেপ্তার