সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ড মিজমিজি পশ্চিমপাড়া ধনুহাজী এলাকা ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সুমিলপাড়া বিহারী কলোনী ট্যাংকি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি শাহীনুর আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পশ্চিমপাড়া ধনুহাজী এলাকার শাহাদাত হোসেনের বাড়ি ভাড়াটিয়া জমির উদ্দিনের ছেলে কাজী মেজবাহ (১৯) এবং সুমিলপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আতিক (২০)।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহীনুর আলম জানান, বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৪ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই বজলুর রহমান ও এএসআই গৌরাঙ্গ মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্পেশাল-৩৩ (নাইট) ডিউটিরত অবস্থায় তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পশ্চিমপাড়া মিজমিজি ধনুহাজী রোড ভাই ভাই সৌদি টাওয়ারের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে কাজী মেজবাহের দেহ তল্লাশী করে পরিহিত প্যান্টের সামনের ডান পকেট থেকে একটি সাদা পলিথিনের মধ্যে রক্ষিত ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে এসআই মাসুম বিল্লাহ ও এএসআই গৌরাঙ্গ মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্সসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সুমিলপাড়া বিহারী ক্যাম্প এলাকার পানির ট্যাংকি আসলাম এর চা দোকানের সামনে থেকে আসামির দেহ তল্লাশি করে তার ডান হাতে থাকা একটি সাদা পলিথিনে রাখা সাদা কাগজে মোরানো স্টেপলার পিন দ্বারা আটকানো ২০ পুরিয়া হেরোইনসহ আতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ