রূপগঞ্জে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দীর্ঘ  ১৯বছর পর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সাধারণ সভায় রূপগঞ্জ  প্রেসক্লাবের আহবায়ক  কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

সাত্তার আলী সোহেলকে আহ্বায়ক, মো. হানিফ মোল্লা, রাসেল আহমেদ, আলী হোসেন টিটো ও নাজমুল হুদাকে সদস্য করে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন রপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রবীণ সাংবাদিক আলম হোসেন। 

প্রবীণ সাংবাদিক আলম হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাসুদ করিম, রাসেল আহমেদ,  সাত্তার আলী সোহেল, শাকিল আহমেদ,  শাহেল মাহমুদ, আলী হোসেন টিটো, লিখন রাজ, নাজমুল হুদা, আনোয়ার , জি.

কে দিলু, হানিফ মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সহ অনলাইন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্টপিডিয়ার কর্মরত আরো অনেক সাংবাদিকগন।

রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি ঘোষনার পর রূপগঞ্জের রাজনৈতিক নেতারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। 

সাংবাদিক আলম হোসেন বলেন, নতুন কমিটি যেনো আগামী ৬ মাসের মধ্যে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের একটি আধুনিক ভবন নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি জানান। 

রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাত্তার আলী সোহেল বলেন, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবকে একটি মডেল প্রেসক্লাবে রূপান্তর করা হবে। রূপগঞ্জে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের পর্যায়ক্রমে ক্লাবের সদস্য করা হবে।

সকলের সহযোগিতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা করা হবে। 
তিনি আরো বলেন, প্রেসক্লাবে আর কখনো চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলবে না। রূপগঞ্জের সাংবাদিকেরা এখন থেকে স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারবেন বলেও ঘোষণা দেন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ প র স

এছাড়াও পড়ুন:

পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার

চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর পুরো ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’ 

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ