দেশের মানুষ সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করছেন: তথ্য উপদেষ্টা
Published: 26th, May 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, দেশের মানুষ সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করছেন।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের (ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলেজিয়াস ফ্রিডম) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এ অঞ্চলে মুসলমান-হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের সহাবস্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে না। সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছেন। উপদেষ্টা জানান, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পালনে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে দেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে একটি মহল সবসময় অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
সাক্ষাতে মাহফুজ আলম বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ কেউ নিজেদের আওয়ামী লীগের সহযোগী মনে করছেন এবং এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। তিনি রাষ্ট্র পুনর্গঠন কার্যক্রমে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলডিন, দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইকোনমিক কাউন্সিলর এরিক গিলান ও আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট সিমা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ধ নত উপদ ষ ট করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর
গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।