শুধু ইউরোপের নয়; বিশ্বের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ড পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো সে কথাই বলে।

কিন্তু ৭ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ আর ৩২ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বৃহৎ পরিসরের ক্লাব বিশ্বকাপ যে এক জিনিস নয়, তা শুরুতেই টের পেল রিয়াল। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কাল রাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সফলতম ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে স্প্যানিশ পরাশক্তিরা।

দুই দলই কাল নতুন কোচের অধীন প্রথমবার খেলেছে। রিয়ালের কোচ হিসেবে জাবি আলোনসো ও আল হিলালের কোচ হিসেবে সিমোন ইনজাগির অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচ দিয়েই। তাতে কেউ পুরোপুরি সফল নন; আবার পুরোপুরি ব্যর্থও নন।

তবে কোচ বদলালেও একটা জায়গায় রিয়ালের ভাগ্য বদলায়নি—পেনাল্টি! এবারের মৌসুমে পেনাল্টি যেন তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে, যা শিগগিরই শেষ হওয়ার নয়।

তরুণ ফরোয়ার্ড গঞ্জালো গার্সিয়ার গোলে কাল ৩৪ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। তবে লস ব্লাঙ্কোরা এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল হিলালকে ম্যাচে ফেরান পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস।

ম্যাচের শেষ দিকে সেই পেনাল্টি থেকেই জয় দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল আলোনসোর দল। কিন্তু যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফেদেরিকো ভালভের্দের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আল হিলালের মরোক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বুনু। ফলে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়।

২০২৪–২৫ মৌসুমে এ নিয়ে ১৯ পেনাল্টির মধ্যে ৭টিতে গোল করতে ব্যর্থ হলো রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগায় ৪টি, চ্যাম্পিয়নস লিগে ২টি ও গত রাতে ক্লাব বিশ্বকাপে ১টি। দলটির হয়ে এ মৌসুমে পেনাল্টি কিক নিয়েছেন ৪ জন। কার্লো আনচেলত্তির সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং জুড বেলিংহাম আর জাবি আলোনসো অধ্যায়ের শুরুতে ফেদেরিকো ভালভের্দে।

মৌসুমে এমবাপ্পেই সর্বোচ্চ পেনাল্টি কিক নিয়েছেন—১০টি। এর মধ্যে ৭টিতে সফল, ৩টিতে ব্যর্থ হয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। টানা দুই ম্যাচে পেনাল্টি মিসের অভিজ্ঞতাও হয়েছে এমবাপ্পের; চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে এবং লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। টানা দুই পেনাল্টি মিসের পর ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী তারকা। তবে আনচেলত্তি দলের খেলোয়াড়দের পক্ষ নিয়ে জানিয়েছিলেন, কোন ম্যাচে কে পেনাল্টি নেবেন, তা তিনিই ঠিক করে দেন।

আল হিলালের বিপক্ষে গত রাতেও হয়তো এমবাপ্পেই কিকটি নিতেন। কিন্তু জ্বরের কারণ তিনি স্টেডিয়ামে যাননি। হোটেলকক্ষে থেকেই দলের পয়েন্ট খোয়ানো দেখেছেন।

ভিনিসিয়ুসও এই মৌসুমে স্পট কিকে শতভাগ সফল হতে পারেননি। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড ৬টি পেনাল্টি নিয়ে ২টিতে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইংলিশ তারকা বেলিংহাম নিয়েছেন দুটি পেনাল্টি। একটিতে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে বোকা বানাতে পেরেছেন, অন্যটিতে পারেননি। সর্বশেষ পেনাল্টি মিসের তালিকায় যুক্ত হলেন উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার ভালভের্দে।

কাল ম্যাচ শেষে আলোনসো ভালভের্দেকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। সে দৃশ্য দেখে মনে হতে পারে, ‘অভিজ্ঞতার ভান্ডার’ লুকা মদরিচ থাকতেও ভালভের্দেকে দিয়ে পেনাল্টি নেওয়ানোর সিদ্ধান্ত আলোনসোরই ছিল। ভিনি, রদ্রিগো, বেলিংহামদের যে তিনি ততক্ষণে তুলে নিয়েছিলেন! কিন্তু নতুন কোচ আলোনসোও এ মৌসুমের রিয়ালের পুরোনো রোগটা সারাতে পারলেন না।

সত্যিটা হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও সের্হিও রামোস চলে যাওয়ার পর থেকেই পেনাল্টি থেকে রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্যের হার কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ ৪ মৌসুমে ৬২ পেনাল্টি পেয়ে ৪৩টিতে গোল করতে পেরেছেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা, ব্যর্থ হয়েছেন ১৯টিতে। সাফল্যের হার ৬৯.

৩৫%।

তবে টাইব্রেকারে ভালো করেছে রিয়াল। গত ৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের তিনটি নকআউট ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে নিয়ে গিয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি; জিতেছে তিনটিতেই। দুটি ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে, একটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প আল হ ল ল র এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া