নির্বাচনে যাদের ভয়, তারাই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিতে চায়: আমীর খসরু
Published: 12th, July 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন–নির্বাচনে যাদের ভয়, তারাই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিতে চায়। তারা মনে করে, পিছিয়ে দিয়ে কিছু শক্তি সঞ্চয় করে নির্বাচন করবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করতে তারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অপূর্ণ জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাসদ।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষের মালিকানা, তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। কোনো কমিশন এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। দেশের মানুষকে তার সমস্যা সমাধান করতে হবে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে। যতটুকু ঐকমত্যে আমরা পৌঁছেছি, এর বাইরে আর কিছু না করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিলে আগামী ৩-৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক করে নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন অনিশ্চিত ও দোলাচলে থাকলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে।
গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতি জানতে চাচ্ছে, কবে আর কখন নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার কানামাছি খেলছে। তারা এর মধ্যে একটি কিংস পার্টিও করে দিয়েছে। জাতির সঙ্গে এই তামাশা বন্ধ করুন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সরকার আসলে যেভাবে বলছে, সেভাবে নির্বাচন দেবে কি না– সেটি নিয়ে গভীর একটা সন্দেহ এখনও আছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে– মানুষ এটিতে এখনও সন্দেহ করে।
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন বিভাগের নার্সারিতে নিষিদ্ধ গাছের চারা
গত ১৫ মে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরও খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সারি সারি করে বেডে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আগ্রাসী আকাশমনির চারা।
এ চিত্র দেখা গেছে নাটোরের লালপুর উপজেলা বন বিভাগের নার্সারিতে। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর জন্য ক্ষতি জেনেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভেতরে থাকা নার্সারিটিতে নিষিদ্ধ প্রজাতির গাছের চারা থাকলেও তা ধ্বংসের কোনো উদ্যোগ নেই।
প্রশাসন বলছে, বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বন বিভাগ বলছে, গাছগুলো গত বছরের তৈরি। বর্তমানে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছগুলো কী করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি তারা। সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন বিভাগের নার্সারিতে এ ধরনের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে অবশ্যই সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ রক্ষায় এ বিষয়ে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন পরিবেশকর্মী চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
সরেজমিন লালপুর উপজেলা বন বিভাগের সরকারি নার্সারি ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এ নার্সারিতে ১৬ হাজার বনজ, ফলদ ও ঔষধি জাতের চারা প্রস্তুত করা আছে। এর মধ্যে ৮৫০০টি রয়েছে আকাশমণি গাছের চারা।
উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আব্দুল্লা বলেন, ‘আকাশমণির চারা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তবে বিক্রয় বন্ধ আছে। এই গাছগুলো গত বছরের তৈরি। প্রতিটি গাছ ৯ টাকা করে দাম। এগুলো তো আমি চাইলেই ধ্বংস করতে পারি না। গাছগুলো কী করা হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত পাইনি। পেলেই ধ্বংস করা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘কোনো নার্সারিতে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি জাতের গাছের চারা পাওয়ায় গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় ধ্বংস করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি গাছের চারা রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরে এই ধরনের গাছের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি নার্সারিতে এ গাছ বা চারা থাকলে তা ধ্বংসের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’