আপোষ করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে ২০ কোটি ডলার দেবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 12th, July 2025 GMT
ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে একটি অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য এই অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা আগামী শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করে চুক্তিটি চূড়ান্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প ফেডারেল তহবিল থেকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ৪০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন। সেই চুক্তিটি পুনরায় সচল করার বিনিময়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণের মধ্যে ভর্তি এবং বিদেশী উপহার সম্পর্কে স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি করবে।
কলিম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কথিত নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২০ কোটি ডলার বা তার বেশি দিতে পারে। চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা গত রবিবার বৈঠক করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলোচনা হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারের নেতৃত্বে একটি দল পরিচালনা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ভার্জিনিয়া ল্যাম আব্রামস এই চুক্তি সম্পর্কে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল সরকারের সাথে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে। এই মুহূর্তে কোনো সমাধান হয়নি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য কলম ব
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল
মিডফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ, জুলাই অভ্যুত্থানে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীপুর বাজারে শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক নীরব রায়হান, জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সঞ্চালনায় মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।
শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই কীভাবে আমার ছেলেকে খুনি শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। আপনারা কি চান আবার এই ঘটনা ঘটুক? আরেকটা দল এসে এমন করুক। যদি না চান এসব ঘটনার প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাতে চাই- এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। এই দশমাসে ১৫৪ জন মারা গেছে। আমরা আর এসব দেখতে চাই না। আমার ছেলে রক্ত দিছে, প্রয়োজনে আমি আবার রক্ত দেব। এগুলো আর করতে দেব না। সারাদেশের মানুষকে বলি, মিডিয়াকে বলি কেউ যাতে আর এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘ইন্টেরিম ঘোড়ার ঘাস কাটে কিনা আমরা জানি না। জননিরাপত্তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মাঝেমধ্যে মনে হয় এই পুলিশ ইউনূসের নয়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলব, জনগণের নিরাপত্তার কাজে সাড়ে ৩২ নাম্বার পেয়ে ফেল করেছেন। আপনারা দেখেন কারা ধর্ষণ, খুন, হামলা করে। এমন ঘটনার পরে আমরা কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখতে পাইনি। যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে অ্যাকশন দেখান। আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আসসালামু আলাইকুম, আপনি বিদায় নেন।’
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি শুক্রবার ভাইরাল হওয়ার দুইদিন আগে ঘটেছে। কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এগুলো সামনে আনেনি। মনে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী সময়ে মিডিয়াগুলো হাসিনার কোল থেকে নেমে অন্য কারো কোলে উঠেছে। তাদের প্রচারণায় নেমেছে।