একের পর এক অমানবিকতা ও হিংস্রতা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে: আনিসুল ইসলাম
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ‘চাঁদা না দেওয়ায়’ একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে বর্বর, হৃদয়বিদারক ও অমানবিক আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় পার্টির (সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত) জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ স্তব্ধ, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় এবং তার বিরোধিতা করায় একজন নিরীহ নাগরিককে জীবন দিতে হবে, এটা কল্পনাতীত।’
আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব কথা বলেন। পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদ ও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘শুধু পুরান ঢাকার ওই হত্যাকাণ্ডই নয়, প্রতিনিয়তই এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমন অমানবিকতা, হিংস্রতা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের নৈতিকতা এবং আইনের শাসনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জাতীয় পার্টি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।’
প্রতিবাদ সভায় জাতীয় পার্টির (সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত) কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। যারা পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা শুধু একজন মানুষকে হত্যা করেনি, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকেই রক্তাক্ত করেছে।’
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির উত্তরের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, আমানত হোসেন, দক্ষিণের নেতা সারফুদ্দিন আহমেদ, মাসুক আহমেদসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম নব ক
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে একমত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ সব দল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ পদ্ধতিতে মতভিন্নতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিএনপি এখনও প্রস্তাবের বিষয়ে অবস্থান জানায়নি। তবে অতীত বিতর্কের কারণে তত্ত্বাবধায়ক থেকে বিচার বিভাগকে দূরে রাখতে আপত্তি নেই দলটির। জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার আগের কাঠামো পুনর্বহাল চাইলেও এখন তারা নতুন প্রস্তাব দেবে। এনসিপি সংসদের নিম্নকক্ষের সর্বদলীয় কমিটি এবং উচ্চকক্ষের ভোটের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে চায়। চলতি সপ্তাহের সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
২০১০ সালে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করলেও পরবর্তী দুই নির্বাচন এ ব্যবস্থায় হওয়ার পরামর্শ ছিল রায়ের পর্যবেক্ষণে। বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক থেকে দূরে রাখার নির্দেশনা ছিল আদালতের। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়।
দলীয় সরকারের অধীনে পরের তিন নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর, ডিসেম্বরে হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতার মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো আখ্যা দেয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনায় বিএনপি ও জামায়াতের আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক, দুই ফর্মুলা
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল– রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সংসদের উভয় কক্ষের স্পিকার ও বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সরকারি ও প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্য দলের একজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত ৯ সদস্যের জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়োগ দেবে প্রধান উপদেষ্টা।
তবে বিএনপি এনসিসি গঠনে সায় দেয়নি। ফলে, গত বৃহস্পতিবারের সংলাপে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ অবসানের ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।
সংসদের মেয়াদ অবসানের ৩০ দিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, নিম্নকক্ষের বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত উচ্চকক্ষের একজন সদস্য, বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত উচ্চকক্ষের একজন সদস্য, প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্যান্য বিরোধী দলের একজন উচ্চকক্ষের সদস্যকে নিয়ে সাত সদস্যের ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটি’ গঠিত হবে।
কমিটি গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা পদের জন্য সরকারি দল কিংবা জোট পাঁচজন উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। প্রধান বিরোধী দল কিংবা জোটও পাঁচটি নাম প্রস্তাব করবে। সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দল কিংবা জোট দু’জন করে মোট চারজনের নাম প্রস্তাব করবে।
বাছাই কমিটি প্রস্তাবিত ১৪ ব্যক্তির নাম নিয়ে শুনানি হবে। যাতে উচ্চকক্ষের সদস্যরা অংশ নেবেন। শুনানি সম্পন্নের এক ঘণ্টার মধ্যে সরকারি দল কিংবা জোটের প্রস্তাবিত পাঁচজনের তালিকা থেকে প্রধান বিরোধী দল কিংবা জোট একজনের নাম বাছাই করবে। বিরোধী দল বা জোটের তালিকা থেকে একজনের নাম বাছাই করবে সরকারি দল বা জোট। অন্যান্য দল বা জোটের প্রস্তাবিত নাম থেকে সরকারি দল বা জোট একজনের এবং প্রধান বিরোধী দল বা জোট যে কোনো একজনের নাম বাছাই করবে। এই পদ্ধতিতে কোনো দল বা জোট অভিন্ন ব্যক্তির নামও প্রস্তাব করতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে যদি অভিন্ন ব্যক্তির নাম প্রস্তাবিত হয়, তবে তিনিই হবেন প্রধান উপদেষ্টা। আর যদি অভিন্ন ব্যক্তির নাম না আসে, তবে উচ্চকক্ষের সদস্যরা ‘র্যাঙ্ক চয়েজ’ বা ক্রমভিত্তিক পছন্দ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে একজনকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করবেন। যাকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে, ১৫ দিনের মধ্যে বিলুপ্ত সংসদের উভয় কক্ষ একই পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত করবে। ৯০ থেকে ১২০ দিন মেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হবেন, সর্বোচ্চ ১৫ জন।
দ্বিতীয় ফর্মুলায় বলা হয়েছে, সংসদ বিলুপ্তির ৯০ দিন পূর্বে উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান অথবা স্পিকার, ডেপুটি চেয়ারম্যান অথবা ডেপুটি স্পিকার, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, সংখ্যালঘু দলের নেতা, উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দলের একজন প্রতিনিধি, নিম্নকক্ষের স্পিকার, সংসদ নেতা এবং নিম্নকক্ষের বিরোধী দলের নেতারা সমন্বয়ে একটি ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন’বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হবে।
কমিটির কাছে দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করবে। নাম নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার পর কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য একজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সিদ্ধান্ত না হলে, উচ্চকক্ষের সদস্যরা ক্রমভিত্তিক পছন্দ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে একজনকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন।
ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেছেন, র্যাঙ্ক চয়েজ পদ্ধতিতে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন না একজন নির্বাচিত হবেনই। অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না। তবে দুটি ফর্মুলাই কমিশনের প্রস্তাব মাত্র। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজ নিজ ফর্মুলা দেবে। এর পর আলোচনায় ঐকমত্যে একটি পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে।
বিএনপি নিজের কার্ড দেখাচ্ছে না
১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠনে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়কে একমত হলেও গঠন পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছে না। বরং অন্য দলগুলোর প্রস্তাব দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, কমিশন যে দুটি ফর্মুলা দিয়েছে, তাতে উচ্চকক্ষের ভোটে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হবেন। তাই আগে ঠিক করতে হবে, কীভাবে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
জামায়াত, এনসিপিসহ ২২টি দল চায় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন করা হবে। বিএনপি চায়, সংসদে দলগুলো প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। এনিয়ে চার দিন সংলাপ হলেও ঐকমত্য হয়নি।
অতীতে প্রধান বিচারপতিদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেওয়ায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা দেখা গেছে– এ যুক্তিতে এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকারসহ কয়েকটি দল বিচার বিভাগকে দূরে রাখার পক্ষপাতী। আগের নিয়মে কাউকে না পাওয়া গেলে রাষ্ট্রপতি হতেন প্রধান উপদেষ্টা। ২০০৬ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতায় জামায়াত চায়, কোনোভাবেই রাষ্ট্রপতির প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানিতে সংবিধানের ৫৮(ক), (খ) ও (গ) বহাল হবে বলে আশা করছেন। এতে প্রধান বিচারপতির প্রধান উপদেষ্টার হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে, বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়কের বাইরে রাখার প্রস্তাবটি ভালো। যদি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের একাধিক বিকল্প পাওয়া যায়, বিএনপি গ্রহণ করবে। সব দল বিকল্প প্রস্তাব দেবে, বিএনপিও দেবে। আগে তিন-চারটি বিকল্প রেখে, এর পর বিচার বিভাগকে যুক্ত করার বিধান রাখা যেতে পারে। সবশেষ বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে রাখা যায়। তবে তা রাখার জন্য রাখা।
অন্য দল কী বলছে
নিজেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপকার দাবি করে জামায়াত আগের পদ্ধতিই বহাল রাখার পক্ষে ছিল। দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে বলেছেন, জামায়াত চলতি সপ্তাহেই দলীয় প্রস্তাব দেবে। তবে রাষ্ট্রপতিকে কোনোভাবেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। বিচার বিভাগের পরিবর্তে গ্রহণযোগ্য বিকল্প পাওয়া গেলে জামায়াতের আলোচনায় আপত্তি নেই।
এনসিপি ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদলের রূপরেখা দিয়েছে জানিয়ে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে একটি ১১ সদস্যের সংসদীয় সর্বদলীয় কমিটি গঠন হবে। কমিটি সরকারি দল, বিরোধী দল ও অন্য দলের প্রস্তাবিত তিনজন করে মোট ৯ জনের নাম থেকে একজনকে আট-তিন ভোটে প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবে। এই পদ্ধতি ব্যর্থ হলে উচ্চকক্ষের সদস্যদের ‘র্যাঙ্ক চয়েজ’ ভোটে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।
আখতার হোসেন বলেছেন, অতীতে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করায় বিচার বিভাগ কলুষিত হয়েছিল। এর পুনরাবৃত্তি রোধে সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।