গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে সমরাস্ত্র রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা। রবিবার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

শনিবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে- এমন সামগ্রী রপ্তানির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।

তিনি বলেন, “গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে- এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা স্থগিতই রয়েছে। কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”

আরো পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরো ৬৮ ফিলিস্তিনির

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: কানাডার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুুঁশিয়ারি

গত ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডা থেকে ইসরায়েলে এখনও অস্ত্র যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনের বেশ কিছু দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা হলেও সেটির জন্য লাইসেন্স লাগবে- আর সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।”

তিনি আরো নিশ্চিত করেন, “লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগ থেকেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি- সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও ভাবেই নয়।”

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে আরো বলেন, “বৈধ লাইসেন্স ছাড়া কেউ সামরিক পণ্য রপ্তানি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে জরিমানা, মালামাল জব্দ এবং ফৌজদারি মামলা।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য বরাবরই বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সেরা গন্তব্য। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে দুই বছরের এক চিত্রে দেখা গেছে উল্টো প্রবণতা। দেশটির শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশকে বেছে নিচ্ছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছেন রাশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও উজেবিকস্তানের দিকে। কেন এমন প্রবণতা, শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে ঝুঁকে পড়ার কারণ খুঁজেছেন ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সাংবাদিক মিলান শর্মা।

বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৩৬৮। এ সংখ্যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ২৩২ জন।আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার আরটিপি বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, উপবৃত্তি-ভ্রমণ ভাতাসহ নানা সুযোগ ৩ ঘণ্টা আগে

পশ্চিমা দেশগুলোয় পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভারতের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের সঙ্গে তুলনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন এ তথ্য অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে শিক্ষার্থীদের হার গত বছরের (২০২৩ সাল) তুলনায় ২০২৪ সালে কমে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন এ তথ্য পার্লামেন্টে তুলে ধরেছে। ২০২৩ সালে যেখানে বিদেশে পাড়ি দেওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৯২ হাজার, সেখানে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৯ হাজারে।

ভারতীয় শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম পড়তে গেছেন কানাডায়। রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর যাওয়া সংখ্যা প্রায় ৪১ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩ সালে যেখানে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩২ ভারতীয় শিক্ষার্থী ছিলেন কানাডায়, ২০২৪ সালে সেটি কমে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ জনে নেমেছে।

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলায় দেবগৌড়ার নাতি সাবেক এমপি প্রজ্বলের যাবজ্জীবন
  • লিপস্টিক ইফেক্ট: মন্দায় প্রসাধনীর চাহিদা কেন বাড়ে?
  • যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে
  • রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
  • ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
  • পিডিবির ভুলে ২৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হলো বাংলাদেশকে
  • জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে