ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি তার স্বদেশ ইরানের ওপর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরোধিতা করে আবার বার্তা দিয়েছেন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় নার্গিস লিখেছেন, “আমি যেটা নিশ্চিতভাবে জানি, তা হলো, যুদ্ধ কখনোই গণতন্ত্র, মানবাধিকার কিংবা স্বাধীনতা নিয়ে আসে না।”

নরওয়ের পত্রিকা ক্লাসেকামপেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২৩ সালের শান্তিতে নোবেলজয়ী নার্গিস বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে তার সমালোচনা তিনি জারি রেখেছেন। তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু আমাদের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নরকের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।”

আরো পড়ুন:

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হবে অর্থনৈতিক আত্মহত্যা: যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান মালয়েশিয়ার

নার্গিস মোহাম্মদি আরো বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না যে, যুক্তরাষ্ট্রের বোমা ইরানি জনগণকে মুক্তি দিতে পারে।”

নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনের অগ্রণী এই কর্মী ইরানি সরকারেরও একজন খোলামেলা সমালোচক, যার ফলে তাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।

১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে ২২ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া ছাড়া ইরানে ‘রেজিম চেঞ্জ’ করাও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।

দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
  • পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান: ফারুক
  • সাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকোচন ও জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা গুরুতর হুমকি
  • যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
  • আ.লীগ ১৫ বছরে অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ফোকলা বানিয়েছে: মঈন খান