৯০ বছর বয়সেও ক্যামেরার সামনে মিরানা জামান
Published: 24th, June 2025 GMT
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে কোনো বাধাই তাঁকে অভিনয় থেকে দূরে রাখতে পারেনি। এখনও মাঝেমধ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব পান। ৯০ বছর বয়সেও ক্যামেরার সামনে অভিনয় করে যাচ্ছেন! বলা হচ্ছে, মিরানা জামানের কথা। সম্প্রতি এই গুণী অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন ‘মৃত্তিকার যাত্রা’ টেলিছবিতে। ইলোরা গহরের রচনায় এ টেলিছবিটি পরিচালনা করেছেন কাশেফ শাহবাজী।
সম্প্রতি রাজধানীর আফতাব নগর, মিরপুর বধ্যভূমি, শেখের টেকসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়েছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ছাত্র-জনতা। তাদের জীবনে নানা ক্রাইসিস উঠে এসেছে টেলিছবিতে। টেলিছবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মশাল জ্বালিয়ে দেন মিরানা জামান। এতে তাঁকে দেখা যাবে ওমর সানীর মায়ের চরিত্রে। মিরানা জামান বলেন, ‘অভিনয় আমার ভালোবাসার জায়গা। এটা ছাড়া থাকা কষ্টকর। এ কারণে মাঝেমধ্যে ক্যামেরার সামনে আসি। খাটের মধ্যেই টেলিছবিটির শুটিং করেছি। সেই ব্রিটিশ আমলে জন্মেছি। বয়স বাড়ছে। সঙ্গে সমস্যাও বাড়ছে। বার্ধ্যক্যজনিত কিছু সমস্যায় ভুগছি। অনেক সময় লাঠির সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মাঝেমধ্যে হাঁটুতে ব্যথা করে। দাঁড়াতে কষ্ট অনুভব করি। ক্রমেই শরীরের ভারসাম্য হারাচ্ছি। শর্মিলী আহমেদ, মাসুদ আলী খান নিয়মিত খবর নিতেন, তারাও তো চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। আমাদেরও একদিন ডাক আসবে; চলে যাব। মনে কোনো দুঃখ নেই। জীবনে যা চেয়েছি, তার থেকে বেশি পেয়েছি।’
এর আগে ইলোরা গওহরের রচনা ও পরিচালনায় ‘ভিটা বাড়ি’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন মিরানা জামান। গত ঈদুল আজহায় এটি প্রচার হয়েছে।
মিরানা জামান ছাড়াও টেলিছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ইলোরা গহর, ওমর সানী, আতিক, চৈতি, খালেদা আক্তার কল্পনা প্রমুখ।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে [বিটিভি] টেলিছবিটি প্রচার হবে ২৮ জুন রাতে।
প্রসঙ্গত, মিরানা জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ বেতারের একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ‘জাহান বাজে শেহনাই’ দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরে ধীরে বহে মেহগনা, ওরা ১১ জন, সুপ্রভাত, গেরিলা এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০২০ সালে তিনি বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কর্তৃক ‘বুলবুল আহমেদ পুরস্কার’ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ছিল শিখণ্ডি কথা (২০১৩)। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক অভ ন ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দেহ হলেই আটক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আরও কঠোর হবে সরকার। কোনো ব্যক্তি নাশকতা করতে পারেন, এমন সন্দেহ হলেই আটক করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সচিবালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর, অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার লকডাউন কর্মসূচি ডেকেছে অনলাইনে। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী)। জুলাই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় এটিই প্রথম মামলা, যেটির রায় ঘোষণার তারিখ জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির আগে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা হয়েছিল। গতকাল হলো আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা। আটজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে এ কমিটি গঠিত।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এতে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগ কী ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারে, তা তুলে ধরেন। একটি সংস্থার প্রতিনিধি জানান, বরিশাল অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। এসব আলোচনার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য অবস্থান ঘিরে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায়