কয়েক দিন টানা ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সব অ্যাপ কিছুটা ধীরগতির হবে, সেটাই স্বাভাবিক। অ্যাপ আপডেট করা প্রয়োজন কিছুদিন পরপরই।
ঠিক তেমনই গুগল প্লে স্টোরও আপডেট করা জরুরি। স্মার্ট ডিভাইস গ্রাহকের অনেকেই এমন চর্চা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু প্লে স্টোর আপডেট না করার ফলে তা পুরোনো সংস্করণে থেকে যায়। ফলে নতুন সুবিধা নেওয়া যায় না। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকলে গুগল প্লে স্টোর আপডেট করা শ্রেয়।
ঠিকঠাক কোনো অ্যাপ যদি আপডেট করা না হয়, তাহলে সমস্যা দৃশ্যমান হয়। কারণ পুরোনো সংস্করণে যেসব সমস্যা থাকে, তা ঠিক করা হয় নতুন সংস্করণে।
ফলে স্প্যামিং বা হ্যাকিং সমস্যায় পড়ার শঙ্কা কমে যায়। কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করেই প্লে স্টোর আপডেট করা যায়। প্রথমেই আপডেট করে নিলে নতুন সংস্করণ ব্যবহার করা যাবে প্লে স্টোরে। পুরোনো সংস্করণ, যা যান্ত্রিক ত্রুটি (প্রযুক্তির ভাষায় যাকে বাগ বলে), তা আর দৃশ্যমান হবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে যথাযথ। ডিভাইসে ভাইরাস প্রবেশ করবে না। হ্যাকিং উৎপাত থেকে পাওয়া যাবে বাড়তি সুরক্ষা।
আপডেট প্রয়োজন
প্রথমে ফোনের প্লে স্টোর অপশনে গিয়ে ওপরে ডানদিকে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে। ওখানে সেটিংস অপশনে ট্যাপ
করতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে অ্যাবাউট অপশনে। ক্লিক করলে প্লে স্টোরের সংস্করণ দৃশ্যমান হবে। আপডেট অপশনে ক্লিক করলেই দৃশ্যমান হবে আপডেট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স স করণ
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপের এই ৭ সুবিধা সম্পর্কে জানেন তো
তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি সহজে কথা বলা ও ভিডিও কল করার সুযোগ থাকায় নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। আর তাই ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত নতুন সুবিধা যুক্ত করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে হোয়াটসঅ্যাপে থাকা সব সুবিধা সম্পর্কে জানেন না অনেক ব্যবহারকারী। সুবিধাগুলো জানা থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে বাড়তি বেশ কিছু সুযোগ পাওয়া যাবে। হোয়াটসঅ্যাপের ৭ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. কাস্টম নোটিফিকেশন
কাস্টম নোটিফিকেশন সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহজেই নির্দিষ্ট কোনো কনটাক্টের জন্য আলাদা রিংটোন বা নোটিফিকেশন টোন নির্ধারণ করা যায়। ফলে ফোন হাতে না নিয়েই সহজে বোঝা যাবে, কে বার্তা পাঠিয়েছে। সুবিধাটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তির চ্যাটে প্রবেশ করে ওপরে থাকা ইউজারনেম অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠায় থাকা নোটিফিকেশন অপশনে ট্যাপ করে প্রয়োজনীয় সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে।
২. নিজেকে বার্তা পাঠানো
হোয়াটসঅ্যাপে নিজের নম্বরেও বার্তা পাঠানো যায়। ফলে নোট, লিংক, বিশেষ কোনো বার্তা বা ভয়েস মেমো সরাসরি নিজের চ্যাটেই সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই সুবিধার মাধ্যমে মূলত হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যক্তিগত নোটপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। হোয়াটসঅ্যাপের সার্চ বক্সে গিয়ে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর টাইপ করে সহজেই বার্তা পাঠানো যাবে।
৩. লেখার ফরম্যাট
বার্তার গুরুত্ব বোঝাতে বা আলাদা করে হাইলাইট করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট ফরম্যাটিং সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে সহজেই বার্তা বোল্ড, ইটালিক বা স্ট্রাইকথ্রো ফরম্যাটে লেখা যায়। এসব ফরম্যাট ব্যবহার করলে বার্তা হয় আরও আকর্ষণীয় ও পরিষ্কার। বোল্ড করতে হলে লেখার আগে ও পরে * মার্ক দিতে হবে। ইটালিক করতে লেখার আগে ও পরে _ মার্ক এবং স্ট্রাইকথ্রো করতে লেখার আগে ও পরে ~ মার্ক দিতে হবে।
৪. তারিখ অনুযায়ী বার্তা খোঁজা
তারিখ অনুযায়ী বার্তা খোঁজার সুবিধা কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে সহজেই পুরোনো বার্তা খুঁজে পাওয়া যায়। সুবিধাটি ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে প্রবেশ করে ওপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর সার্চ অপশন নির্বাচনের পর সেখানে থাকা ক্যালেন্ডার আইকনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট তারিখ নির্বাচন করতে হবে।
৫. ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট চ্যাট লক
অ্যাপের সম্পূর্ণ অংশ লক করার বদলে নির্দিষ্ট চ্যাটকেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সুরক্ষিত রাখা যায় হোয়াটসঅ্যাপে। এতে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা থাকে আরও নিরাপদ। এ জন্য প্রথমে চ্যাট বক্স থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে চ্যাট লক অপশন নির্বাচনের পর ‘লক দিস চ্যাট উইথ ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ টগলে চাপ দিয়ে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। চ্যাট লক হয়ে যাওয়ার পর চ্যাটটি ‘লকড চ্যাটস’ অপশনে পাওয়া যাবে। চ্যাট আনলক করতে একইভাবে চ্যাটে থাকা ব্যক্তির নাম ট্যাপ করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় চ্যাট লক অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার ‘লক দিস চ্যাট উইথ ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ টগলে চাপ দিয়ে আঙুলের ছাপ দিলেই লক করা বার্তাগুলো আবারও দেখা যাবে।
৬. ফোন নম্বর ছাড়াই ব্যবহার
অস্থায়ী একটি সিম কার্ড দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবে লগইন করা যায়। একবার লগইন হয়ে গেলে সিমটি সরিয়ে ফেললেও অ্যাপ ব্যবহার করা সম্ভব।
৭. গ্রুপ চ্যাটে জরিপ
দলগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা কোনো বিষয়ে পরিচিতদের মতামত জানার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ চ্যাটে জরিপ বা পোল পরিচালনা করা যায়। সুবিধাটি ব্যবহারের জন্য গ্রুপ চ্যাটের চ্যাট বক্সে প্রবেশ করে নিচের ডান দিকে থাকা পেপার ক্লিপ আইকনে ট্যাপের পর পোল অপশন নির্বাচন করতে হবে। পরের পৃষ্ঠায় পোলের প্রশ্ন ও উত্তরের অপশন লিখতে হবে। এরপর প্রয়োজনমতো পোলের অপশন নির্বাচন করে ডান দিকে থাকা সেন্ড আইকনে ট্যাপ করতে হবে। এর ফলে উত্তরদাতা পোলের অপশন নির্বাচন করলেই হোয়াটসঅ্যাপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তা জানা যাবে। এবার ভিউ ভোটস অপশনে ট্যাপ করলে কতজন মতামত দিয়েছেন এবং কোন অপশন নির্বাচন করেছেন, সেগুলোর বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে।
সূত্র: টেকলুসিভ