সৌদি বিশ্বকাপ ২০৩৪ : বাংলাদেশি জনশক্তির বড় সুযোগ
Published: 30th, June 2025 GMT
ফিফার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন– ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লাখো সৌদি নাগরিকের উল্লাস শুধু ফুটবলপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়; বরং দেশটির অর্থনৈতিক রূপান্তরের সম্ভাবনার উদযাপন। কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরব অর্থনীতিকে তেলনির্ভরতা থেকে বহুমুখী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পর্যটন ও ক্রীড়া খাতের বিকাশে বিপুল বিনিয়োগ করছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে সৌদিতে নিয়ে আসা, এমনকি লিওনেল মেসিকে নেওয়ার প্রচেষ্টা– এ সবই তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। হজ ব্যবস্থাপনার মতো জটিল বিষয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রমাণ করে– সৌদি আরব আধুনিক রাষ্ট্র গড়ার পথে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ সৌদির অর্থনৈতিক রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে নিওম, কায়েদিয়া, দিরিয়াহ, রোশন, কিং সালমান পার্কের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের লক্ষ্য অত্যাধুনিক শহর, বিলাসবহুল পর্যটন কেন্দ্র, বিনোদন হাব এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ, যা সৌদি অর্থনীতিকে নতুন খাতে প্রসারিত করবে। একসময় তেলের ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতির চাকা ঘুরলেও এখন তারা অন্যান্য প্রকল্পের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন সৌদি আরবে বিপুল দক্ষ জনবলের চাহিদা তৈরি করবে। বর্তমানে ৩০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত। কিন্তু দেশটির কঠোর শ্রমনীতি ও প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে তাদের আয়ের সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। আগে নির্মাণ খাতে বিপুলসংখ্যক অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন থাকলেও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগ কমে আসছে। কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম নির্মাণে বাংলাদেশের কর্মীদের বড় অংশগ্রহণ থাকলেও দক্ষতার অভাবে তারা উচ্চ পর্যায়ের পদে কাজ করার সুযোগ পাননি।
দুঃখজনক, বাংলাদেশি জনশক্তির বেশির ভাগই অদক্ষ হওয়ায় তারা প্রবাসে ভালো বেতনে কাজ করতে পারেন না। বিশেষত ইংরেজি ও আরবিতে দক্ষতার অভাবে কাজে দক্ষ হয়েও ভালো পদে যেতে পারেন না। অনেক সময় দালালদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে কম বেতনের বা অস্তিত্বহীন চাকরির ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসার ঘটনাও ঘটে। শ্রম আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং ভাষাবিষয়ক বাধা তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন সামনে রেখে বৈশ্বিক বড় বড় ব্র্যান্ড সৌদিতে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করবে। ফলে ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘হোয়াইট কলার’ বা উচ্চমানের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। পর্যটন খাতে ট্যুর গাইড, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, রিসেপশনিস্টসহ বিভিন্ন পদে বিপুসংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন হবে। পরিবহন খাতেও দক্ষ ড্রাইভারের চাহিদা বাড়বে। এখানেই বাংলাদেশের জন্য লুকিয়ে আছে বিশাল সম্ভাবনা। আমাদের বিপুলসংখ্যক মাদ্রাসা-শিক্ষিত তরুণ আরবি ভাষায় পারদর্শী। তাদের যদি সঠিক ইংরেজি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্যুর গাইড, অনুবাদক বা রিসেপশনিস্ট হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তা হবে অভাবনীয় পরিবর্তন। একইভাবে ইলেকট্রিক্যাল, প্লাম্বিং, এইচভিএসি টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডার, ফ্যাব্রিকেটর, মেশিন অপারেটর, ফুড সাপ্লাই বা নিরাপত্তা কর্মী– এসব খাতে লাখো তরুণকে আধুনিক কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা সম্ভব। এমনকি বুয়েটসহ দেশের নামকরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সৌদির নির্মাণ খাত হতে পারে ইউরোপ বা আমেরিকার বিকল্প কর্মক্ষেত্র। এই মেগা প্রকল্পগুলোতে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতি, প্রজেক্ট ম্যানেজার, কারিগরি বিশেষজ্ঞের চাহিদা থাকবে।
আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করেন। অথচ তাদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখই চাকরির বাইরে থেকে যান। দেশের এই বিশাল বেকারত্বের সমাধান হতে পারে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি তরুণদের যুক্ত করা। কিন্তু দুঃখজনক, দক্ষ জনবল রপ্তানির জন্য সরকারের এখনও সুসংগঠিত জাতীয় কৌশল নেই। ভারত, পাকিস্তান, এমনকি নেপালের মতো দেশও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ‘হোয়াইট কলার’ বা উচ্চমানের চাকরিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ফিফা বিশ্বকাপ ২০৩৪ সামনে রেখে দেশব্যাপী সমন্বিত ও কার্যকর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা জরুরি। এ পরিকল্পনায় সৌদি আরবের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আরবি জানা তরুণদের ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে পারে এবং উচ্চ পদে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন করে।
ড্রাইভিং (ভারী ও হালকা উভয়), ইলেকট্রিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, পর্যটন, নির্মাণ নকশা, আইটি সাপোর্ট, স্বাস্থ্যসেবা সহকারী– এসব খাতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এসব প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে।
বুয়েটসহ আমাদের প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সৌদি আরবের বড় বড় প্রকল্পের সংযোগ স্থাপন করতে হবে। সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে। সৌদি আরবে একটি স্থায়ী বাংলাদেশি কনসালট্যান্সি সেবা চালু করা যেতে পারে, যা দক্ষ ও শিক্ষিত তরুণদের সঠিক কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বিদেশে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের জন্য সৌদি আরবের শ্রম আইন, সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করা উচিত।
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের মতো একটি আন্তর্জাতিক আয়োজন সামনে রেখে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা: হয় আমরা এই বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করব, নয়তো দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের তরুণদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করব।
সময় এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সময় এখন কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপই পারে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন মাত্রা যোগ করতে।
আকরাম হুসাইন: সাবেক ডাকসু নেতা
hossaincf@gmail.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ব শ বক প ২০৩৪ স ল র জন য স ব যবস থ প রকল প আম দ র প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
উপহার দেওয়া সম্পর্কে ইসলাম
উপহার দেওয়া এবং গ্রহণ করা ইসলামে অত্যন্ত প্রশংসিত এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহের অংশ। এই নিবন্ধে আমরা ইসলামে উপহার দেওয়ার নীতি, এর তাৎপর্য এবং প্রয়োগের উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
কোরআনে উপহার দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকোরআনে উপহারকে সরাসরি ‘হাদিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আমাদের জীবনের সবকিছু—সম্পদ, পরিবার, ইমান—আল্লাহর উপহার। এই উপহারগুলোর বিনিময়ে আল্লাহ কিছু চান না, তবে তাঁর আদেশ ও নিষেধ পালন আমাদের জন্য আরেকটি উপহার, কারণ এগুলো আমাদের জান্নাতের পথে নিয়ে যায়।
নবীজি উপহার গ্রহণ করতেন এবং তার বিনিময়ে কিছু দিতেন।সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩,৫৩৬কোরআনে বিশেষ করে নবীদের জন্য দেওয়া ‘জ্ঞানের উপহার’ (ইলম) এবং ধার্মিকদের জন্য জান্নাতের নিয়ামতের কথা উল্লেখ আছে। কোরআনে আটটি স্থানে নবী বা জ্ঞানী ব্যক্তিদের জ্ঞান ‘আল্লাহ–প্রদত্ত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৪, সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭৯)
এ ছাড়া জান্নাতের পুরস্কারগুলোকে ‘নিয়ামত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (সুরা সফফাত, আয়াত: ৪০-৪৮)
আরও পড়ুনবিবাহে মহর, যৌতুক ও উপহার০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮হাদিসে উপহার দেওয়ার বিধানরাসুল (সা.) উপহার গ্রহণ করতেন এবং এর বিনিময়ে কিছু দিতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবীজি উপহার গ্রহণ করতেন এবং তার বিনিময়ে কিছু দিতেন।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩,৫৩৬)
ইসলামে উপহার দেওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন নেই, যেমন জন্মদিন বা বিশেষ উৎসব, যা পশ্চিমা ঐতিহ্য থেকে আলাদা।
প্রস্তাবিত উপহার কী কী?ইসলামে উপহার ব্যবহারিক, উপকারী এবং গ্রহীতার জন্য মূল্যবান হওয়া উচিত। হাদিসে নির্দিষ্ট কোনো উপহারের সুপারিশ নেই, তবে সুগন্ধি এবং খাবার জনপ্রিয় ছিল। নবীজিকে কেউ সুগন্ধি উপহার দিলে তিনি কখনো প্রত্যাখ্যান করেননি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,৫৮২)
হাদিসে নির্দিষ্ট কোনো উপহারের সুপারিশ নেই, তবে সুগন্ধি এবং খাবার জনপ্রিয় ছিল। নবীজিকে কেউ সুগন্ধি উপহার দিলে তিনি কখনো প্রত্যাখ্যান করেননি।সুগন্ধি জুমার দিন ও নামাজের আগে ব্যবহারকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খাবার উপহার হিসেবে এলে রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করতেন, ‘এটি সদকা না উপহার?’ যদি উপহার হতো, তিনি তা গ্রহণ করতেন; সদকা হলে তা খেতেন না। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৬৫৬)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে মুসলিম নারীরা, তোমরা কেউ যেন প্রতিবেশীকে দেওয়া উপহারকে তুচ্ছ মনে না করো, এমনকি তা যদি ভেড়ার পায়ের মাংসও হয়।’ (রিয়াদুস সালিহিন, হাদিস: ৩০৪)
বোঝা যায় যে উপহারের মূল্য নয়, নিয়ত ও ভালোবাসাই গুরুত্বপূর্ণ।
উপহার দেওয়ার প্রভাব কী?উপহার দেওয়া হৃদয়ের মধ্যে মালিন্য দূর করে এবং সম্পর্ককে দৃঢ় করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন আরেকজনকে উপহার দাও, উপহার হৃদয়ের মধ্যে মালিন্য দূর করে।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২১৩০)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একজন আরেকজনের সঙ্গে উপহার বিনিময় করো, এটি হৃদয়ের ক্রোধ দূর করে।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২১৩০)
উপহার শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা বহন করে, এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যেও।
আরও পড়ুনরাসুল (সা.) তাঁকে চাদর উপহার দিলেন০৬ এপ্রিল ২০২৫উপহার দিতে না পারলে কী করবেন?যদি কেউ আর্থিক বা অন্য কারণে উপহার দিতে না পারেন, তবে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি উপহার পায় এবং তার কাছে কিছু ফেরত দেওয়ার থাকে, তবে তা দিক। যদি কিছু না থাকে, তবে তার প্রশংসা করুক এবং তার পক্ষে ভালো কথা বলুক। যে তা করে, সে কৃতজ্ঞতার দায়িত্ব পালন করে। আর যে কৃতজ্ঞতা গোপন করে, সে অকৃতজ্ঞ। আর যে এমন গুণ প্রকাশ করে যা তার নেই, সে দ্বিমুখী প্রতারণার পোশাক পরিধানকারীর মতো।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২০১৬)
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে উপহারের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করা যায়।
কীভাবে শুরু করবেনউপহার দেওয়া একটি সুন্নত। এই সুন্নতের চর্চার মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন দূর করতে এগিয়ে আসতে পারি। আসুন দেখা যাক, কীভাবে উপহার দেওয়ার সুন্নতটি অভ্যাসে পরিণত করতে পারি:
হে মুসলিম নারীরা, তোমরা কেউ যেন প্রতিবেশীকে দেওয়া উপহারকে তুচ্ছ মনে না করো, এমনকি তা যদি ভেড়ার পায়ের মাংসও হয়।রিয়াদুস সালিহিন, হাদিস: ৩০৪১. ছোট উপহার দিয়ে শুরু করুন: যেমন একটি বই, সুগন্ধি বা খাবার উপহার দিন। এমনকি একটি হাসিও উপহার হতে পারে।
২. নিয়মিত উপহার দিন: বিশেষ দিনের অপেক্ষা না করে প্রতিবেশী, বন্ধু বা আত্মীয়দের ছোট উপহার দিন।
৩. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: উপহার পেলে ধন্যবাদ জানান এবং গ্রহীতার জন্য দোয়া করুন।
৪. নিয়ত সঠিক রাখুন: উপহার দেওয়ার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সম্পর্ক উন্নতির নিয়ত করুন।
৫. অমুসলিমদের উপহার দেওয়া: অমুসলিম বন্ধুদের উৎসবের সময় উপহার দেওয়া জায়েজ, যদি তা তাদের ধর্মীয় আচারের সমর্থন না করে। এটি সম্পর্ক জোরদার ও দাওয়াহর মাধ্যম হতে পারে।
উপহার দেওয়া ও গ্রহণ করা ভালোবাসা ও ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যম। কোরআন ও হাদিস আমাদের উপহারের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্পর্ক গড়ার গুরুত্ব শেখায়। উপহারের মূল্য নয়, বরং নিয়ত ও ভালোবাসাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকলেও কৃতজ্ঞতা ও ভালো কথার মাধ্যমে উপহারের উদ্দেশ্য পূরণ করা যায়।
আরও পড়ুনপ্রতিবেশীর অধিকার ইমানের মানদণ্ড১৪ এপ্রিল ২০২৫