সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি জাতীয় সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না: আমীর খসরু
Published: 2nd, July 2025 GMT
নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনপদ্ধতির মতো পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনপদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাস করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতাদের সঙ্গে দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘এত বড় একটা পরিবর্তনের কথা যারা বলছে, এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলের ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে। এটা কোনো দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের ওপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসে।’
আমীর খসরু বলেন, যেকোনো বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাস করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোনো আলোচনার বিষয় হতে পারে না।
জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও সাহসী উচ্চারণে বারবার সামনে এসেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনতার কণ্ঠে নিজের কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের সেই ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে আবারও সরব হলেন এই অভিনেত্রী। জুলাই আন্দোলনকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, “জুলাই আন্দোলন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই আন্দোলন আমাকে আশা দিয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।”
বাঁধন আরও লেখেন, “আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র নিজের জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মণির মতো ছোট ছোট শিশুরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে!”
সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আন্দোলনের সময় আমরা এক হয়েছিলাম আমাদের অধিকার আর দেশকে ভালোবেসে। সেটা ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম ভালো কিছুর। আমি সেই আশা সবসময় বুকে ধারণ করেই চলব।”
ঢাকা/রাহাত//