প্রেমের মেট্রো-যাত্রায় জীবনের গল্প
Published: 5th, July 2025 GMT
অনুরাগ বসু মানেই ভিন্নধর্মী প্রেমের গল্প। ২০০৭ সালে ‘লাইফ ইন আ...মেট্রো’তে প্রেম, বন্ধন, বিচ্ছেদ আর জীবনের ছোট ছোট আবেগের গল্পই অন্য রকমভাবে বলেছিলেন। ১৮ বছর পর ‘মেট্রো ইন দিনোঁ’ সিনেমায় সেই গল্পেরই নতুন অধ্যায় নিয়ে ফিরলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে বদলেছে প্রেমের ধরন, বদলেছে জীবনযাত্রা; কিন্তু হৃদয়ের টান, দাম্পত্যের টানাপোড়েন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি এখনো ততটাই জীবন্ত। এটাই অনুরাগ বসুর ছবির শক্তি—সময় যতই বদলাক, প্রেমের ভাষা থেকে যায় একই।
ছবি: ‘মেট্রো ইন দিনোঁ’পরিচালক: অনুরাগ বসু
সংগীত পরিচালক: প্রীতম
অভিনয়শিল্পী: অনুপম খের, নীনা গুপ্তা, পংকজ ত্রিপাঠী, কঙ্কণা সেন শর্মা, আলী ফজল, ফাতিমা সানা শেখ, আদিত্য রায় কাপুর, সারা আলী খান, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
চার জুটি, চার রঙের গল্প
ছবির কেন্দ্রে আছে চার জুটি। তাঁদের জীবন ভিন্ন, চাওয়া-পাওয়া আলাদা, কিন্তু এক সুতায় গাঁথা—ভালোবাসা। শিবানী (নীনা গুপ্তা) সংসারের চাপে স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন বহু আগেই। স্বামী সঞ্জীবের (শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়) পরকীয়া মেনে নিয়ে সংসার চালিয়েছেন সন্তানের মুখ চেয়ে। কলেজ পুনর্মিলনীতে পরিমলের (অনুপম খের) সঙ্গে হঠাৎ দেখা, আবার নতুন করে দানা বাঁধে পুরোনো প্রেম। প্রেম এখানে বয়সের বেড়াজালে আটকে নেই—এটা স্মৃতির, প্রশ্রয়ের, হারিয়ে যাওয়া আবেগের গল্প।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র গল প
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর মতো সেজে তরুণ গেলেন পরীক্ষা দিতে
কোনো কিছু কঠিন হলে কিছু মানুষ তা এড়িয়ে যেতে চান। শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ঠিক তেমনই এক চ্যালেঞ্জ, যা অনেকেই পছন্দ করেন না। কেউ কেউ শুধু পরীক্ষার চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। চীনের এক ছাত্রীও এই চাপ এড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি এক ছেলেকে নিজের হয়ে পরীক্ষা দিতে রাজি করিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের ছদ্মবেশ নিয়ে পরীক্ষার হলে হাজির হওয়া সেই ছেলেটি শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ জুন, হুবেই প্রদেশের উহানে, ঝোংনান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ল-এর একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। ছেলেটি নারী সেজে পরচুলা, মাস্ক ও হেডব্যান্ড পরে পরীক্ষার কেন্দ্রে যান। তাঁর অস্বাভাবিক সাজসজ্জা দেখে শিক্ষকের সন্দেহ হয়। পরচুলা খুলতে বলতেই তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পরীক্ষাকক্ষে থাকা আরেক শিক্ষার্থী তাঁকে শনাক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় প্রকাশ করে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ জুন এক বিবৃতিতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, লি নামের এক ছাত্রী অনলাইনে পরিচয় হওয়া এক পুরুষ শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে তাঁর হয়ে পরীক্ষায় বসতে রাজি করান। তাঁদের মধ্যে কত অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, লি-কে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছদ্মবেশী ওই পুরুষের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি সামনে আসার পর চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ ঘটনাটি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেন, কেউবা একাডেমিক চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘এই পরচুলা এতটাই স্পষ্ট ছিল! তারপরও কেউ ভেবেছে, এটা দিয়ে পার পাওয়া যাবে, ভাবা যায়?’