নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্ট নাগরিক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। তারা বলেন, নাটোর এখনো দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। জেলায় বড় কোনো শিল্প কারখানা নেই। গ্যাস সংযোগ না থাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। নাটোরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের লেখালেখির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অতিথিরা।  

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাগিচা রেস্টুরেন্টে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নাটোরের সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন ‘নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতি ঢাকা’। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো.

আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, নাজেসাসের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান, দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম ও মিরপুর সায়েন্স কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন রিপন।

আরও বক্তব্য দেন নাটোর সদর আসনের এনসিপির সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহফুজুল আলম, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এনসিপির নাটোর জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক ও তেজগাঁও থানার সদস্য সচিব মো. হারুন, বিটিভির উপস্থাপক এম এ রশিদ, কালবেলার নিউজ এডিটর আতোয়ার হোসেন, ৭১ টেলিভিশনের মো. কামরুজ্জামান ও নাটোর জেলা সমিতি ঢাকার মো. সিরাজুল ইসলাম নান্নু।  

এ সময় শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফরিদুজ্জামান, চলনবিল প্রবাহের সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী মো. খায়রুল বাশার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জিয়াউর রহমান চৌধুরী, যুগান্তরের এমদাদুল হক, যমুনা টিভির আলমগীর কবির, মাহী মাহফুজ, মাছরাঙ্গা টিভির মেহেদী হাসান, গাজী টিভির শ্যামলী সরকার, রাজনীতি ডট কমের ডিজিটালের হেড এ এস এম আতিকুর রহমান, নাগরিক টিভির রাশেদুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার ইমদাদ হক হুমায়ন, স্টার নিউজের জেএনই নাজমুস সাকিব, রিপোর্টার সুজন নাজির, আর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আতিকা রহমান, সাব-এডিটর মো. কামাল হোসেন, সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল সবুজ, তাসনিয়া নিশাত মিম, কালবেলার বিনোদন বিভাগের ইনচার্জ এ এইচ মুরাদ, সহ-সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, দৈনিক মুক্ত খবরের জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা সংবাদের মো. শামীম রেজা, এটিএন বাংলার আজিজুল হাকিম পলাশ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মো. মাহতাব উদ্দিন, কে এম জাহিদুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, ফজলুর রহমান, মো. ইছাহক কাজী, সাদেক আলী, মো. মজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করার জন্য রোববার কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন—  তারা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে।

তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে পরিবর্তনের শর্ত দিয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন কিছু সংশোধন চেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন করে কোনো হামলা হবে না।

গাজার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের বরাতে জানানো হয়, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুগুলোর ওপর বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ সাতজন নিহত হন।

এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় একটি গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। যদিও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ