আওয়ামী লীগ জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি: ড. মঈন খান
Published: 5th, July 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরণ ও দুঃশাসনের বিষয়ে জনগণ অবগত। জিয়াউর রহমানের পর দলটি দীর্ঘসময় দেশকে শাসন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশে কখনোই জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।”
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক আলোচনা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীর জাতীয়তাবাদের মধ্যে সমস্যা দেখেছিলেন। তিনি নিজে সমস্যাটির সমাধান খুঁজে বের করেছিলেন, তা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমান সব ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী নীতি মেনেই দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।”
তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রপতি জিয়ার জাতীয়তাবাদী ধারণার বিস্তৃতি ছিল বিশাল। তার অর্থনীতি, রাজনীতি ও অকুতোভয় দেশপ্রেম সর্বক্ষেত্রের মূল ভিত্তি ছিল এই জাতীয়তাবাদ। তিনি একদলীয় স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন।”
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহিন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- কবি আল মুজাহিদী, কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করার জন্য রোববার কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন— তারা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে।
তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে পরিবর্তনের শর্ত দিয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তবে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন কিছু সংশোধন চেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন করে কোনো হামলা হবে না।
গাজার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের বরাতে জানানো হয়, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুগুলোর ওপর বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ সাতজন নিহত হন।
এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় একটি গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। যদিও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।