চীনের রেফারি মু মিন ঝিন শেষ বাঁশি বাজালেন। তবে বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন কোনো অতিরিক্ত উল্লাস দেখা গেল না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে করমর্দন, কিছুটা শান্ত ভঙ্গিতে মাঠ ছেড়ে গেলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে যেন আর দশটা ম্যাচই খেলে ফেললেন মেয়েরা।

তবে খানিক পর বদলে গেল দৃশ্যপট। মাঠে গোল বেঁধে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন খেলোয়াড়েরা। জাতীয় পতাকা নিয়ে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে দলগতভাবে ছবি তুললেন তাঁরা। ওই সময়টাই একটু আনন্দে মেতেছিলেন মেয়েরা। তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুধু গ্রুপ পর্বের শেষটা রাঙানো নয়, এর আগেই মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গাও করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এর ফলে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ ছিল অনেকটাই নিয়ম রক্ষার। কিন্তু মর্যাদার প্রশ্নে ছাড় না দিয়ে মেয়েরা ম্যাচ শুরু করেন চ্যাম্পিয়নের মতোই। মাত্র ২১ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-০ তে। প্রথমার্ধেই হয় ৭টি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল না হলেও তাতে ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের লাইনে মনিকা (সবার সামনে).

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করার জন্য রোববার কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন—  তারা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে।

তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে পরিবর্তনের শর্ত দিয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন কিছু সংশোধন চেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন করে কোনো হামলা হবে না।

গাজার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের বরাতে জানানো হয়, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুগুলোর ওপর বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ সাতজন নিহত হন।

এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় একটি গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। যদিও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ