বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা থাকার ভুয়া খবরের নেপথ্যে ছিল পরকীয়া প্রেমের কাহিনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তারা হলেন- ইমরান, তাঁর বন্ধু ইমনের স্ত্রী তাহমিনা ও ইমনের মা রাশেদা বেগম। শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।

এর আগে শুক্রবার বিমানে বোমা রয়েছে বলে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয়। বোমা থাকার আশঙ্কায় বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটিতে ৩ ঘণ্টার তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু বিমানে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বোমা আছে- ফোন করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। যার ফলে ওই বিমানে যাত্রা স্থগিত করা হয়। তিন থেকে চার ঘণ্টার তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় জাতীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মারাত্মক ক্ষুন্ন হয়। এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। 

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর পরই আমরা অনুসন্ধানে নামি। সারারাত অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করেছে। 

একেএম শহিদুর রহমান বলেন, এই ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ইমন নামে এক ব্যক্তি পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে এই ফ্লাইটে নেপাল যাচ্ছিলেন। বিষয়টি ইমনের মা ও তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন এবং যাত্রা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালান। কিন্তু তারা কোনোভাবে সক্ষম হননি। তখন ইমনেরই আরেক বন্ধু ইমরান তাদের পরামর্শ দেন, যদি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে জানানো হয় বিমানে বোমা আছে, তাহলে যাত্রাটা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। সে অনুযায়ী, ইমনের মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে বিমানে বোমা থাকার তথ্য জানান।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ন কর ইমন র

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়ালটনে স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ও রিপোর্টিং এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি হেড ও ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি. এম. আবদুল্লাহ-আল-ফুয়াদ।

এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল মাঠপর্যায়ের রিকভারি টিমকে আধুনিক কৌশলভিত্তিক আদায় পদ্ধতি, পেশাদার কমিউনিকেশন টেকনিক, ফলোআপ স্ট্র্যাটেজি এবং কার্যকর রিপোর্টিং কৌশল সম্পর্কে সচেতন ও দক্ষ করে তোলা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন ১৮ জন রিকভারি কর্মকর্তা, যাদের প্রত্যেকেই সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত।

উদ্বোধনী অধিবেশনটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ট্রেইনিং ম্যানেজার মো. রওশন আলী বুলবুল।

তিনি বলেন, “রিকভারি পেশাকে আরো সিস্টেমেটিক, প্রফেশনাল ও সম্মানজনক করতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ ওয়ালটনের মূল শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করবে।”

মূল সেশনগুলোতে যা ছিল:
•    স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ইনসাইট — কৌশলগত ফলোআপ, ধাপে ধাপে রিকভারি পরিকল্পনা
•    কমিউনিকেশন ও নেগোশিয়েশন টেকনিক — সময়, ভাষা ও আচরণের প্রভাব
•    রিপোর্টিং ও পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং— কীভাবে স্পষ্ট, কার্যকর এবং ফলপ্রসূ রিপোর্ট তৈরি করা যায়
•    স্মার্ট টুল — মোবাইল, হ্যান্ডনোট, প্রি-ডিজাইন টেমপ্লেট ও রিকভারি ট্র্যাকার

সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ক্রেডিট রিকভারি বিভাগের প্রধান এস. এম. জাহিদ হাসান। 

তিনি বলেন, “ক্রেডিট রিকভারি একটি সম্মানজনক এবং কৌশলগত পেশা। আজকের এই প্রশিক্ষণ আমাদের টিমকে আরো প্রফেশনাল করে তুলবে, এবং রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে আমরা ব্যবসার গভীর বিশ্লেষণ করতে পারব।”

তিনি আরো বলেন, “ওয়ালটন চায়—প্রতিটি টিম মেম্বার চিন্তা করুক যেন তারা শুধু রিকভারি করছে না, বরং প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের মধ্যে স্থায়ী বিশ্বাস ও নৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে “ 

প্রশিক্ষণের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘রিকভারি রিপোর্টিং হ্যান্ডবুক’-এর একটি সংক্ষিপ্ত গাইড কপি প্রদান করা হয় যাতে সবাই নিজ নিজ কাজে সহজে প্রয়োগ করতে পারেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে বিমানে বোমা থাকার ভুয়া তথ্য দেন মা: র‍্যাব মহাপরিচালক
  • কারা, কেন তিন আসামিকে বাদ দিয়ে অন্য তিনজনকে আসামি করল: যুবদল সভাপতি
  • ওয়ালটনে স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ও রিপোর্টিং এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত