কুয়াকাটা সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
Published: 6th, August 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে সামাদ সিদ্দিকী পারভেজ (১৭) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে, বেলা ১১টায় একই স্থানে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সে।
সামাদ সিদ্দিকী মাগুরা সদর উপজেলার পশ্চিবাড়ীয়ালা হাজীপুর গ্রামের আলীউল ইসলামের ছেলে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি
‘চালকের ঘুমই’ চিরঘুমে পাঠাল সাতজনকে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার খুলনা থেকে সামাদসহ ৭ জন একসঙ্গে কুয়াকাটা বেড়াতে এসে হোটেল সৈকতে ওঠেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে সৈকতের জিরো পয়েন্টে সামাদ ও তার বন্ধুরা একসঙ্গে গোসলে নামেন। এ সময় সামাদ ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ক্যামেরাম্যানরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে একই স্থান থেকে সামাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘‘নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
কুয়াকাটা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‘মৃত পর্যটকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরপারে ভালো থেকো জুবিন: সোহম চক্রবর্তী
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। একাধারে গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে স্কুবা ড্রাইভিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শোবিজ অঙ্গন। ভারতীয় বাংলা সিনেমার বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন জুবিন। তার গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। প্রিয় গায়ক, বন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই নায়ক—
জুবিন গার্গ নেই! খবরটা শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না। সামনে পূজা। উৎসবের আগে এমন অন্ধকার নেমে আসবে, কল্পনাও করতে পারেনি। সকাল থেকেই মনটা বেশ খারাপ। ভাবিনি এমন দুঃসংবাদ শুনতে হবে। জুবিনের সঙ্গে আমার তো কম স্মৃতি নেই। খুব মজার মানুষ ছিলেন। ভীষণ খোলামেলা। যখনই দেখা হতো, কোথা দিয়ে যে সময় কেটে যেত, বুঝতেই পারতাম না।
আরো পড়ুন:
সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ মারা গেছেন
ফের মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ বিজয়ী মিথিলা
‘প্রেম আমার’ আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। সেই সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘বোঝে না সে বোঝে না’। জুবিনের গলায় সেই গান আজও সমান জনপ্রিয়। জুবিনের ‘ইয়া আলি’ আমার ভীষণ পছন্দের একটি গান। যখনই এই গানটা শুনতাম, মনে হতো কবে জুবিনের গাওয়া গানে লিপ দেব। ম্যানিফেস্ট করতাম, আমার জন্য অন্তত একটি গান জুবিন গায়। ঈশ্বর আমার কথা শুনেছেন।
যখন জানতে পারলাম ‘প্রেম আমার’ সিনেমায় জুবিনের গাওয়া গানে লিপ দেব, ভীষণ আনন্দ হয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। তারপর তো জুবিনের সঙ্গে আলাপ হলো, বন্ধুত্ব হলো। তারপর আমার বেশ কয়েকটি সিনেমায় জুবিন গান গাইলেন। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গাঢ় হলো।
একসঙ্গে প্রচুর স্টেজ শো করেছি। যখনই আমরা একসঙ্গে স্টেজে উঠতাম, দর্শক ‘বোঝে না সে বোঝে না’ শুনতে চেয়েছেন। আর জুবিন আমাকে মাইকটা এগিয়ে দিতেন। আমার তো তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। জুবিনের সামনে গান গাইতে গিয়ে তো আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত।
আসামে যখনই বেড়াতে গিয়েছি, জুবিন বাড়িতে থাকলে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। আসামে শো করতে গেলে, যেকোনো সমস্যায় জুবিনকে একটা ফোন করলেই ও সবরকমভাবে সাহায্য করেছে। তবে সম্পর্কের গায়েও তো ধুলো পড়ে। মাঝের বেশ কিছু বছর ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল না। তবে ওর কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতাম।
আমার সবচেয়ে বড় আফসোস কি জানেন? আমার আগামী একটি বাংলা সিনেমায় জুবিন গান গেয়েছেন। সেই সিনেমাটা মুক্তির অপেক্ষায়। ভেবেছিলাম হয়তো দেখা হবে। সেটা আর হলো না। আমি ওর বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি। তুমি পরপারে ভালো থেকো জুবিন।
ঢাকা/শান্ত