শরতের আলোঝলমল দিনে উঁকি দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা
Published: 25th, September 2025 GMT
টানা কয়েক দিন ধরে দিনের বেলায় কাঠফাটা রোদের পাশাপাশি সন্ধ্যা হতে না হতেই মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল পঞ্চগড়ের আকাশ। তবে আজ বৃহস্পতিবারের সকালটা একেবারেই ভিন্ন। ভোর থেকেই শান্ত-স্বচ্ছ নীল আকাশ। উত্তরে হালকা লালচে মেঘ ভেদ করে উঁকি দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ দৃশ্য দেখে সকাল থেকে অনেকেই ছবি তুলছেন। কেউ কেউ শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
আরও পড়ুনপঞ্চগড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবার শরতের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, দেখুন ৭ ছবি০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫শরতের এ সময়টাতে আকাশ পরিষ্কার থাকলেই পঞ্চগড় জেলা শহরসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা মেলে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। এর আগে ২ সেপ্টেম্বরও উত্তরের এই জনপদে দেখা মিলেছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার। সেদিনের ছবি দেখে এরপর কয়েক দিন পঞ্চগড়ে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা না মেলায় আশাহত হয়ে ফিরেছিলেন অনেক পর্যটক।
অবশেষে আজ ভোর থেকে স্পষ্ট হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ দৃশ্য। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের আলোর তারতম্যে রং বদলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই দৃশ্যের দেখা মিলছে পঞ্চগড় শহরসহ তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে।
আজ সকালে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকেরা পঞ্চগড় জেলা শহরসংলগ্ন করতোয়া সেতু থেকে উপভোগ করছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য। পঞ্চগড় শহর থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে অনেককেই গাড়ি থামিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলছিলেন। কেউ কেউ যাচ্ছেন মহানন্দা নদীর তীরে তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোতে।
দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ দৃশ্য দেখে সকাল থেকে অনেকেই ছবি তুলছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দরিদ্র পরিবার থেকে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিশুশিল্পী, পরে করুণ মৃত্যু
বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় বহু তারকা রয়েছেন, যাঁদের যাত্রা শুরু হয়েছিল অল্প বয়সেই। কেউ নিজের প্রতিভায় পৌঁছে গেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এমনই এক শিল্পীর নাম কুমারী নাজ, যিনি একসময় ছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিশুশিল্পী। অভিনয়, ডাবিং, কিংবা কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের মুখ—সব জায়গায় ছাপ রেখে গেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর জীবনের পর্দার আড়ালের গল্প ছিল একেবারেই অন্য রকম—অবহেলা, দারিদ্র্য আর বেদনায় ভরা।
দারিদ্র্য থেকে সিনেমার পথে
১৯৪৪ সালের ২০ আগস্ট, মুম্বাইয়ে জন্ম নাজের। দারিদ্র্য আর মায়ের লোভ তাঁকে খুব ছোট বয়সেই সিনেমায় ঠেলে দেয়। মাত্র চার বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৫০ সালের ‘আচ্ছা জি’ ছবির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর যাত্রা। পরের কয়েক বছরেই হয়ে ওঠেন বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া শিশু তারকা। দর্শকদের প্রিয় হয়ে ওঠেন ‘বেবি নাজ’ নামে।
খ্যাতির আলো, জীবনের আধার
‘গুনাহ’, ‘রুপাইয়া’, ‘শমা পরওয়ানা’—প্রতিটি ছবিতেই তাঁর মিষ্টি হাসি আর সরল অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল পুরো দেশ। কিন্তু আলোঝলমলে পর্দার আড়ালে ছিল অবহেলা আর ক্লান্তি। পরিবার চালানোর ভার, মায়ের কড়া নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে শিশু বয়সেই নাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের শৈশব।