কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। তারপর তামিল-তেলেগু-হিন্দি ভাষার সিনেমা নিয়েই অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বলিউডে পা রেখেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই অভিনেত্রী। 

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উড়ছে—কন্নড় সিনেমার প্রযোজকরা কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাশমিকাকে নিষিদ্ধ করেছেন। এ নিয়ে বেশ চর্চা চললেও নীরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন ‘ডিয়ার কমরেড’ তারকা।  

আরো পড়ুন:

রাশমিকা না কি বিজয়, কে বেশি ধনী?

বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?

গুড নিউজ কন্নড়-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশমিকা মান্দানা বলেন, “দেখুন, ভেতরে কী ঘটছে, বাইরের দুনিয়া তা জানে না। ভেতরে কী হচ্ছে তা সৃষ্টিকর্তা জানেন। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে ক্যামেরা রাখতে পারি না। আর আমরা এমন মানুষ নই যে, আমাদের ব্যক্তিগত মেসেজ অনলাইনে শেয়ার করব।” 

পেশাগত আলোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন রাশমিকা। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষ কী বলছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে পেশাগতভাবে কেউ কিছু বললে, সেটা আমরা মাথায় রাখি এবং কাজ করি।”  

এরপর রাশমিকাকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, কন্নড় প্রযোজকরা আপনাকে নিষিদ্ধ করেছেন কি না? জবাবে রাশমিকা মান্দানা বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ নিষিদ্ধ করেননি।” 

প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে গুঞ্জন উড়ছে, প্রেম করছেন রাশমিকা-বিজয়। যদিও তা অস্বীকার করে আসছিলেন তারা। সবকিছু পেছনে ফেলে বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি বিজয় কিংবা রাশমিকা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা 

ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন

ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে। 

সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’ 

এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’ 

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’ 
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ