দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
Published: 27th, October 2025 GMT
দক্ষিণ চীন সাগরে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন সকল ক্রু সদস্য। বিধ্বস্ত এয়ারক্রাফট দুটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ-এর অংশ ছিল।
সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়ন করা এক যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট এ তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বিরোধ দ্রুত সমাধান করবো: ট্রাম্প
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর
ফ্লিটের বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর এমএইচ-৬০আর সি হক হেলিকপ্টারের তিন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এফ/এ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের দুই পাইলটও ইজেক্ট করে নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। মোট পাঁচজনই ‘সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অবস্থায়’ রয়েছেন। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, দুটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
সিএনএন বলছে, এই বছর মার্কিন নৌবাহিনী এখন পর্যন্ত ৪টি এফ/এ-১৮এফ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য ৬ কোটি ডলার।
এর আগে, বসন্তকালে লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনী দুটি এফ/এ-১৮এফ হারিয়েছিল, একটি বিমানবাহী রণতরী থেকে পড়ে গেছে এবং অন্যটির অবতরণ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে জানা গেছে। আগস্টে প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় ভার্জিনিয়ায় আরেকটি এফ/এ-১৮এফ বিধ্বস্ত হয়।
ইউএসএস নিমিৎজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ এবং বর্তমানে ব্যবহৃত সবচেয়ে পুরোনো মার্কিন বিমানবাহী রণতরী। আগামী বছর এটি অবসর নেওয়ার আগে বর্তমানে শেষ মিশনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ব ম ন ব ধ বস ত ব ধ বস ত ব ম নব হ
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মাদুরো
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভূমধ্যসাগর থেকে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর নির্দেশ দেন। যা সর্বোচ্চ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এই রণতরী যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মাদুরো বলেন, “তারা একটি নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, অথচ এখন নিজেরাই যুদ্ধ তৈরি করছে।”
ওয়াশিংটনের দাবি—এই সামরিক তৎপরতা মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান। তবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত দশটি বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবারের সর্বশেষ হামলায় ছয় জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে হেগসেথ জানিয়েছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ট্রেন দে আরাগুয়া নামের একটি অপরাধী সংগঠনের নৌযান, যাকে যুক্তরাষ্ট্র “সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেক দেশও ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থি হতে পারে।
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা—ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দল থেকেই প্রেসিডেন্টের এককভাবে হামলার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, “যদি কেউ মাদকবাহী নৌকা ধ্বংস হতে না দেখতে চায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানো বন্ধ করুক।”
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা চ্যাথাম হাউসের জ্যেষ্ঠ ফেলো ড. ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক তৎপরতা আসলে ভেনিজুয়েলায় শাসন পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এটি মূলত ভয় দেখানোর কৌশল—যাতে ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটন স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, “আমরা এখন স্থলভাগের দিকেও নজর দিচ্ছি, কারণ সমুদ্র আমরা ইতিমধ্যেই ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”
ঢাকা/ইভা