২৬ দিনে ৯ বার সোনার দাম সমন্বয়
Published: 26th, October 2025 GMT
দেশে সোনার দাম ভরিতে আরও এক হাজার টাকা কমছে। এতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৫৭ টাকা। নতুন দর কাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ রোববার সোনার দাম কমানোর এ ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর সোনার দাম ভরি প্রতি আট হাজার কমিয়েছিল বাজুস। এ নিয়ে টানা দুই দিন সোনার দাম কমছে।
চলতি মাসে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে জুয়েলার্স সমিতি। প্রথম সাতবারই দাম বেড়েছে। তার মধ্যে ৭ অক্টোবর সোনার ভরি প্রতি দাম দুই লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছায়। ২০ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের সোনার দাম বেড়ে হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
নতুন দর অনুযায়ী, কাল সোমবার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৭ হাজার ৯৫৭ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৯৬ টাকায়।
আজ রোববার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৪২ হাজার ২৯৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কাল সোমবার থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ১ হাজার ৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটে ৮৫১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ভরিতে ৮০৩ টাকা দাম কমবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট র
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত দিয়ে আবারও ভারত-চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে আবারও সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। দুই দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ জরুরি।
ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সংস্থা ইন্ডিগো স্থানীয় সময় রাত ১০টায় কলকাতা থেকে গুয়াংঝুতে প্রথম দৈনিক ফ্লাইটটি পরিচালনা করে। ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলছে। আর রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়াংঝুর অতিরিক্ত ফ্লাইট নভেম্বর থেকে চালু হবে।
আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশ্বের দুই জনবহুল দেশ ভারত ও চীন একে অপরের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২০ সালে দুই দেশের সেনাসদস্যদের মধ্যে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে।
ভারত সরকার বলেছে, নতুন করে ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারত মস্কোর তেল কিনে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে সাহায্য করছে। এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুনভারত-চীন কাছাকাছি এলে যুক্তরাষ্ট্র কি এশিয়ায় ধাক্কা খাবে২৪ আগস্ট ২০২৫চীনের সঙ্গের ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর কলকাতার সম্পর্কটা কয়েক শতাব্দী পুরোনো। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই দুই পক্ষের সম্পর্ক আছে। ওই সময় চীনা ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করতে কলকাতায় যেতেন।
কলকাতার চায়না টাউন এলাকার সামাজিক সংগঠনের নেতা চেন খোই কুই বলেন, ‘আমাদের মতো যেসব মানুষের চীনে আত্মীয়স্বজন আছে, তাদের জন্য এটা দারুণ খবর। আকাশপথের এ যোগাযোগ দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকে আরও এগিয়ে নেবে।’
আরও পড়ুনভারত কি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে১০ জুলাই ২০২৫