সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বসবাস করে। এর মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্র্য। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে এ বৈচিত্র্যকে সম্মান করতে হবে। ধর্মের মূল বাণী অনুসরণ করে অহিংস সমাজ গড়ে তুলতে হবে। একটি বৈচিত্র্যময় শান্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প নেই।

আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ধর্মীয় ও তরুণ নেতাদের অংশগ্রহণে এক সম্প্রীতি সংলাপে এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এ সংলাপের আয়োজন করে।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত বড়ুয়া বলেন, সমাজে নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বসবাস থাকে, সমাজে নানা বৈচিত্র্য রয়েছে। এই বৈচিত্র্যকে সম্মান জানিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও অসমতা কমাতে হবে। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র যদি সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখে, তাহলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, যেখানে সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে।

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনের গভর্ন্যান্স অ্যাডভাইজার শাহনাজ করীম বলেন, মেয়েদের ও সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি বা ধর্মীয় নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সব ধর্মের শান্তির মূল ভিত্তি হলো সমতা ও সম্প্রীতি। এ জন্য নাগরিক সমাজের মাধ্যমে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী হলো সম্প্রীতি, কল্যাণ, শান্তি ও ভালোবাসা। মানবিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে অহিংস সমাজ গড়তে পারলে সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। ইসলাম ধর্মে আজানের মাধ্যমে কল্যাণময় সমাজ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

চার্চ অব ইংল্যান্ডের পলিসি অ্যাডভাইজার চার্লস রিড বলেন, ‘বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জাতীয় ফোরাম গঠিত হওয়ায় আমরা অনুপ্রাণিত ও মুগ্ধ। আশা করি, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবীন বলেন, নিজ নিজ ধর্মের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে সমঅংশীদার হিসেবে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে পারলে অসমতা দূর করা সম্ভব।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্মের মূল বাণী অনুসরণ করে অহিংস সমাজ গড়ে তুলতে হবে

সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বসবাস করে। এর মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্র্য। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে এ বৈচিত্র্যকে সম্মান করতে হবে। ধর্মের মূল বাণী অনুসরণ করে অহিংস সমাজ গড়ে তুলতে হবে। একটি বৈচিত্র্যময় শান্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প নেই।

আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ধর্মীয় ও তরুণ নেতাদের অংশগ্রহণে এক সম্প্রীতি সংলাপে এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এ সংলাপের আয়োজন করে।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত বড়ুয়া বলেন, সমাজে নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বসবাস থাকে, সমাজে নানা বৈচিত্র্য রয়েছে। এই বৈচিত্র্যকে সম্মান জানিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও অসমতা কমাতে হবে। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র যদি সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখে, তাহলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, যেখানে সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে।

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনের গভর্ন্যান্স অ্যাডভাইজার শাহনাজ করীম বলেন, মেয়েদের ও সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি বা ধর্মীয় নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সব ধর্মের শান্তির মূল ভিত্তি হলো সমতা ও সম্প্রীতি। এ জন্য নাগরিক সমাজের মাধ্যমে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী হলো সম্প্রীতি, কল্যাণ, শান্তি ও ভালোবাসা। মানবিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে অহিংস সমাজ গড়তে পারলে সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। ইসলাম ধর্মে আজানের মাধ্যমে কল্যাণময় সমাজ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

চার্চ অব ইংল্যান্ডের পলিসি অ্যাডভাইজার চার্লস রিড বলেন, ‘বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জাতীয় ফোরাম গঠিত হওয়ায় আমরা অনুপ্রাণিত ও মুগ্ধ। আশা করি, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবীন বলেন, নিজ নিজ ধর্মের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে সমঅংশীদার হিসেবে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে পারলে অসমতা দূর করা সম্ভব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ