সৌরজগতে প্রবেশ করা সুদূর প্রাচীন নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা অতিথি এক মহাজাগতিক বস্তু আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নাসার মহাকাশযানের মুখোমুখি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ৩আই/অ্যাটলাস নামের রহস্যময় বস্তুটি ২৫ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নাসার ইউরোপা ক্লিপার ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার হেরা মহাকাশযানের কাছাকাছি দিয়ে অতিক্রম করবে। ইউরোপীয় গবেষকেরা একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

গবেষকরা বলছেন, মহাকাশযান দুটি ৩আই/অ্যাটলাসের আয়ন লেজের মধ্যে পড়বে। এতে আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতুর আয়ন লেজের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করার দারুণ সুযোগ মিলবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় সম্ভাবনা হবে, ধূমকেতুর আয়ন লেজের চার্জযুক্ত কণার স্রোত সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এই লেজ ধূমকেতুর কোমা থেকে কয়েক মিলিয়ন মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

আয়ন লেজের সঙ্গে এমন সাক্ষাৎ অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মূল্যবান। লেজের মধ্যে আছে সৌরজগতের বাইরের বিভিন্ন উপাদান। গবেষকেরা টেলক্যাচার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে মহাকাশযানের সঙ্গে ধূমকেতুর আয়ন লেজের নিকটতম পৌঁছানোর দূরত্ব বা ইমপ্যাক্ট প্যারামিটার গণনা করছেন। ৩আই/অ্যাটলাস টেলক্যাচারের সর্বনিম্ন দূরত্ব প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মাইল হতে পারে।

গবেষকেরা জানান, ইউরোপা ক্লিপার সমস্ত উপাদান পরিমাপ করতে না পারলেও আয়ন লেজের কাঠামো ও উপাদানের তথ্য ধারণ করতে পারবে। ফিনিশ মেটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী স্যামুয়েল গ্র্যান বলেন, আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ও যে নক্ষত্রব্যবস্থা তাদের তৈরি করেছে, তাদের অভ্যন্তর সম্পর্কে আমাদের কার্যত কোনো তথ্য নেই। এভাবে লেজের নমুনা সংগ্রহ করা সরাসরি নমুনা সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। বস্তুটি ছায়াপথের একটি ভিন্ন অংশের নমুনাও বটে।

নাসার ইউরোপা ক্লিপার বর্তমানে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার দিকে যাত্রা করছে। আর ইসার হেরা মহাকাশযানটি বর্তমানে গ্রহাণু বলয়ে ডিডিমোস-ডাইমরফোস বাইনারি গ্রহাণু ব্যবস্থার দিকে ভ্রমণ করছে। ইউরোপা প্রোব প্লাজমা অধ্যয়নের জন্য সরঞ্জাম ও একটি ম্যাগনেটোমিটার দিয়ে সজ্জিত। আর হেরা মিশন আয়ন বা চৌম্বকক্ষেত্র পরিমাপ করতে পারে না। সৌরবায়ুর পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ইউরোপা ক্লিপার আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর লেজ থেকে উপাদান অধ্যয়নের এক বিরল সুযোগ পাবে।

যদিও বস্তুটি ধূমকেতুর সাধারণ আচরণের বাইরেও বেশ কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দেখাচ্ছে। বস্তুটিতে একটি অ্যান্টিটেইল রয়েছে। এর কণার বিচ্ছুরণ বা জেট সূর্য থেকে দূরে না গিয়ে সূর্যের দিকে নির্দেশ করে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বস ত ট উপ দ ন ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ভিন নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা অতিথির মুখোমুখি মহাকাশযান

সৌরজগতে প্রবেশ করা সুদূর প্রাচীন নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা অতিথি এক মহাজাগতিক বস্তু আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নাসার মহাকাশযানের মুখোমুখি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ৩আই/অ্যাটলাস নামের রহস্যময় বস্তুটি ২৫ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নাসার ইউরোপা ক্লিপার ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার হেরা মহাকাশযানের কাছাকাছি দিয়ে অতিক্রম করবে। ইউরোপীয় গবেষকেরা একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

গবেষকরা বলছেন, মহাকাশযান দুটি ৩আই/অ্যাটলাসের আয়ন লেজের মধ্যে পড়বে। এতে আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতুর আয়ন লেজের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করার দারুণ সুযোগ মিলবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় সম্ভাবনা হবে, ধূমকেতুর আয়ন লেজের চার্জযুক্ত কণার স্রোত সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এই লেজ ধূমকেতুর কোমা থেকে কয়েক মিলিয়ন মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

আয়ন লেজের সঙ্গে এমন সাক্ষাৎ অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মূল্যবান। লেজের মধ্যে আছে সৌরজগতের বাইরের বিভিন্ন উপাদান। গবেষকেরা টেলক্যাচার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে মহাকাশযানের সঙ্গে ধূমকেতুর আয়ন লেজের নিকটতম পৌঁছানোর দূরত্ব বা ইমপ্যাক্ট প্যারামিটার গণনা করছেন। ৩আই/অ্যাটলাস টেলক্যাচারের সর্বনিম্ন দূরত্ব প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মাইল হতে পারে।

গবেষকেরা জানান, ইউরোপা ক্লিপার সমস্ত উপাদান পরিমাপ করতে না পারলেও আয়ন লেজের কাঠামো ও উপাদানের তথ্য ধারণ করতে পারবে। ফিনিশ মেটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী স্যামুয়েল গ্র্যান বলেন, আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ও যে নক্ষত্রব্যবস্থা তাদের তৈরি করেছে, তাদের অভ্যন্তর সম্পর্কে আমাদের কার্যত কোনো তথ্য নেই। এভাবে লেজের নমুনা সংগ্রহ করা সরাসরি নমুনা সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। বস্তুটি ছায়াপথের একটি ভিন্ন অংশের নমুনাও বটে।

নাসার ইউরোপা ক্লিপার বর্তমানে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার দিকে যাত্রা করছে। আর ইসার হেরা মহাকাশযানটি বর্তমানে গ্রহাণু বলয়ে ডিডিমোস-ডাইমরফোস বাইনারি গ্রহাণু ব্যবস্থার দিকে ভ্রমণ করছে। ইউরোপা প্রোব প্লাজমা অধ্যয়নের জন্য সরঞ্জাম ও একটি ম্যাগনেটোমিটার দিয়ে সজ্জিত। আর হেরা মিশন আয়ন বা চৌম্বকক্ষেত্র পরিমাপ করতে পারে না। সৌরবায়ুর পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ইউরোপা ক্লিপার আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর লেজ থেকে উপাদান অধ্যয়নের এক বিরল সুযোগ পাবে।

যদিও বস্তুটি ধূমকেতুর সাধারণ আচরণের বাইরেও বেশ কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দেখাচ্ছে। বস্তুটিতে একটি অ্যান্টিটেইল রয়েছে। এর কণার বিচ্ছুরণ বা জেট সূর্য থেকে দূরে না গিয়ে সূর্যের দিকে নির্দেশ করে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ