সাফারি পার্কের প্রাচীর টপকে বেরিয়ে গেল নীলগাই, সন্ধান চেয়ে মাইকিং
Published: 20th, January 2025 GMT
গাজীপুরে সাফারি পার্কের সীমানাপ্রাচীর টপকে একটি পুরুষ নীলগাই বেরিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরের নীলগাইটির খোঁজ মেলেনি। সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্কে মোট ১১টি নীলগাই রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি স্ত্রী লিঙ্গের। এখন এই প্রাণীর প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময়ে এক পুরুষ নীলগাই অপর গাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি পুরুষ নীলগাই এক স্ত্রী নীলগাইয়ের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করছিল। এক পর্যায়ে পার্কের পুরোনো দেয়াল টপকে পুরুষ নীলগাইটি বেরিয়ে যায়।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নীলগাইয়ের সন্ধান চলছে। ২-৩ জায়গায় দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। অপরিচিত এ প্রাণী দেখে কেউ যেন আক্রমণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করার জন্য আশপাশের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সন্ধান পেলে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পার্কের জীর্ণ সীমানাপ্রাচীর সংস্কার জরুরি, তা নাহলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গানে গানে প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানান।
সমাবেশে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অনিমা রায় সরকারের সিদ্ধান্তকে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সংগীত আমাদের প্রাণের খোরাক, সংগীত দিয়ে আমরা আমাদের হৃদয় ভরি। কোমলমতি শিশুর মন থেকে সুর কেড়ে নেওয়ার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। এটা হচ্ছে শুরু, এরপর মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সংগীত বন্ধ করার দাবি আসবে।’
অনিমা রায় বলেন, শিক্ষক পদ বাদ দেওয়ার মাধ্যমে সংগীত নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছে, তাদের চাকরির রাস্তা বন্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ফলে চাকরি না থাকলে কেউ ভবিষ্যতে সংগীত পড়তে আগ্রহী হবে না। এটি একটি সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত। তাই প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের পদ পুনর্বহাল করতে হবে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা–কর্মীরা। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ।
এদিকে সংগীত বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিকল্প প্রক্রিয়া ঘোষণা না করে এসব পদ সরাসরি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক, সৃজনশীল ও মানবিক যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি, তার সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক পদক্ষেপে আমরা পাশে আছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক সহকারী শিক্ষক–সংক্রান্ত পদ বাতিলের বিরোধিতা করছি।’
আরও পড়ুনসংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাদ দেওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিল অন্তর্বর্তী সরকার০৪ নভেম্বর ২০২৫