ভারতীয় সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ প্রায় বলতেন তার মাঠের এবং বাইরের জীবনের এত শৃঙ্খলা এসেছে মূলত তরুণ বয়সেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়াতে। তবে গুঞ্জন আছে তার সেই ২০ বছরের সম্পর্ক এবার ভাঙতে যাচ্ছে। বিবাহবিচ্ছেদের পথে শেবাগ এবং তাঁর স্ত্রী আরতি আহলাওয়াত।
শেবাগ ও আরতি ভালোবেসে ২০০৪ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। তবে ভারতীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবি গত কয়েক মাস ধরে তারা আলাদা থাকছেন। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করার পর থেকেই এই গুঞ্জন চাউর হয়েছে।
দিল্লির মেয়ে আরতির পড়াশোনা কম্পিউটার সাইন্সে। তিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসভবনে ২০০৪ সালে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল তাদের। সেই সম্পর্কেই এ বার চিড় ধরেছে।
আরো পড়ুন:
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের লড়াই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
খুলনার প্রতিশোধে শেষ বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব
শেবাগ-আরতির ঘর আলো করে ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া তাদের প্রথম সন্তান আর্যবীরও এখন ক্রিকেট খেলে। বয়সভিত্তিক ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কাড়তে শুরু করেছেন। ২০১০ সালে শেবাগের দ্বিতীয় সন্তান বেদান্তের জন্ম হয়।
সবশেষ দীপাবলির সময় সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা এবং সন্তানদের ছবি পোস্ট করেছিলেন শেবাগ। সেই সময় স্ত্রীর কোনও ছবি দেননি তিনি। জল্পনার শুরু তখন থেকেই। এক সময়ের বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান সপ্তাহ দুয়েক আগে বিশ্ব নাগাকেশি মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানেও আরতিকে দেখা যায়নি।
যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে শেবাগ বা তার স্ত্রী এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি। দাম্পত্যজীবন নিয়ে কোনো বিতর্ক শোনা না গেলেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি আলাদা হওয়ার পথেই হাঁটছেন তারা।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একজন প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতিবিদ মাহতাব উদ্দিন
বাংলাদেশে অনেক তরুণ ও উদীয়মান অর্থনীতিবিদ আছেন, যাঁরা আমার ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা।
মাহতাব বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) গবেষণা পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। বর্তমানে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
প্রায় এক দশক ধরে একাডেমিক ও নীতি গবেষণার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন মাহতাব। তাঁর গবেষণার পরিধি ও বৈচিত্র্য প্রশংসনীয়। শ্রমবাজারের গঠন, কর্মসংস্থানের প্রবণতা, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, অভিবাসনের ধারা ও প্রভাব, প্রবাসী আয়ের ব্যবহার এবং অর্থনীতিতে এর ভূমিকা—এই সব বিষয়ে গবেষণায় তাঁর সুস্পষ্ট দক্ষতা রয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির মতো জটিল নীতিগত প্রশ্ন নিয়েও তিনি গভীর অনুসন্ধানী কাজ করেছেন।
এসব গবেষণার প্রেক্ষাপটে মাহতাব এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), এশিয়া ফাউন্ডেশন, একশনএইড, ব্রিটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (আইডিআরসি), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিসহ (ইউএনডিপি) একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে তিনি গবেষক, বিশ্লেষক এবং নীতিমালা প্রণয়ন সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
একাধিক গবেষণায় মাহতাবের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতায় মাহতাবের মধ্যে যে গুণাবলির পরিচয় আমি পেয়েছি, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর অধ্যবসায় অবিস্মরণীয়—একটি জটিল গবেষণা প্রশ্নের গভীরে প্রবেশ করে, নানা তথ্যসূত্র সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুসংগত উত্তর বের করে আনার সক্ষমতা তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী। তাঁর বিশ্লেষণী দক্ষতা গভীর ও বহুমাত্রিক—তথ্য ও উপাত্তের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে উন্নত পরিসংখ্যানপদ্ধতির প্রয়োগ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে তাঁর দক্ষতা লক্ষ করার মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন