সাগরে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের আলবেনিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে ইতালি
Published: 25th, January 2025 GMT
আইনি বাধার কারণে দুই মাস স্থগিতের পর ভূমধ্যসাগরে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে ইতালি কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন। শনিবার সূত্রের বরাত দিয়ে ইতালির সংবাদমাধ্যম আনসা এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ল্যাম্পেদুসা দ্বীপ থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নোঙর করা ইতালীয় নৌবাহিনীর টহল জাহাজ ক্যাসিওপিয়া শুক্রবার এবং শনিবার ১১ জন অভিবাসীকে নিয়ে যাত্রা করেছে। এদের মধ্যে মিশরীয় এবং বাংলাদেশি ছিলেন।
অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে বিতর্কিত প্রকল্পের অধীনে প্রথম দুটি অভিযানের পর আলবেনিয়ায় নেওয়া অভিবাসীদের তৃতীয় দলের অংশ হতে চলেছেন তারা। জাহাজটি আলবেনিয়ার শেংজিন বন্দরে যাবে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আলবেনিয়া সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ইতালি। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবেদন যাচাই–বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলার সময়টাতে তাদের আলবেনিয়ায় রাখা হবে। প্রতিবছর ‘নিরাপদ’ দেশ থেকে আসা সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশটিতে পাঠানো যাবে। ইতালির করা এই নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, মিসর, আইভরি কোস্ট ও তিউনিসিয়া।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এসব কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বেন মন্ত্রণালয়ের সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ১০৭ কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিসের ২৪৬ কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই পরিবর্তনের ফলে মন্ত্রণালয়ের শত শত কার্যালয় ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা পুনর্গঠন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত করা কর্মীদের পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন, তাঁরাও রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরটি অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খল করছে, যাতে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়।’
যেসব ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাকে শুক্রবার জনবল হ্রাসের নোটিশ দেওয়া হবে, তাঁদের ১২০ দিনের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর তাঁদের চাকরি মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আর চাকরিচ্যুত হওয়া অধিকাংশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাকে প্রথমে ৬০ দিনের ছুটিতে রাখা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই কার্যকর হবে।