রাজধানীর ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর কোনো অফিস খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সিআরআইয়ের নামে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল এই অভিযান চালায়।

রাজু আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সূত্রে আমরা দুটি ঠিকানা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ধানমন্ডি-৩২ এর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও ৬/এ রোডে অভিযান চালিয়ে সিআরআইয়ের অফিসের কোনো খোঁজ পাইনি।

এদিকে সংবাদ বিবৃতিতে দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেন বলেছেন, তদন্তে সিআরআইয়ের নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর থাকার কথা জানতে পেরেছে দুদক। এছাড়াও, সোনালী ব্যাংকের লেনদেনের রেকর্ডও পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, সিআরআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তদন্তে নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস-চেয়ারম্যান হলেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

অভিযানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সিআরআইয়ের ব্যাংকিং রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান দুদক মহাপরিচালক। 

আখতার হোসেন জানান, সিআরআই ট্রাস্টিদের মধ্যে রয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে, এনফোর্সমেন্ট টিম সিআরআই অফিস পরিদর্শন করে সেটি বন্ধ পান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

মিয়ানমারের (বার্মা) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ফালামের ৮১ কিলোমিটার পূর্বে একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য দিয়েছে।

ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে এই ভূমিকম্পের একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। দুটি টেকটোনিক প্লেট—ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।

আরও পড়ুন‘এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে’২৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ