সর্বকালের সেরা ফুটবলারের খেতাব নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এখনো বিভিন্ন রেকর্ডের জন্য লড়াই করে চলেছেন এ দুজন। তবে এর মধ্যে দৃশ্যপটে আসতে শুরু করেছে দুই ফুটবলারের সন্তানেরাও।

প্রায় কাছাকাছি সময়ে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে তারা। মেসির ছেলে থিয়াগো মেসি যেখানে দলের ১২ গোলের ১১টি দিয়েছে, রোনালদোর ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র একই সময়ে করেছে দলের ১০ গোলের সব কটি।

২০২৩ সালে মেসি ইন্টার মায়ামিতে আসার পর তাঁর ছেলে থিয়াগোও মায়ামির বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলা শুরু করে। এর আগে একাধিকবার মাঠে নেমে ছোটদের লড়াইয়ে নিজের কারিকুরিও দেখায় মেসিপুত্র। তবে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৩ এমএলএস কাপের ম্যাচে থিয়াগো যা করেছে, তা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুনছেলেদের ঝগড়া থামালেন বাবা মেসি২৩ অক্টোবর ২০২৪

১২ বছর বয়সী থিয়াগো একাই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ১১ বার। আর মায়ামি ম্যাচ জিতেছে ১২-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল করা থিয়াগো প্রথমার্ধেই করে ৫ গোল। আর বিরতির পর যোগ করে আরও আরও ৬ গোল।  একটি গোল পেলে হয়ে যেত ট্রিপল হ্যাটট্রিকও।

অন্যদিকে কাছাকাছি সময়ে অনূর্ধ্ব-১৫–এর ম্যাচে আল নাসরের জার্সিতে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রোনালদোপুত্র ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র। বাবার ৪০তম জন্মদিনের প্রাক্কালে রোনালদো জুনিয়র মাঠে নেমেছিল আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে। এই ম্যাচ অবশ্য মেসির ছেলে থিয়াগোর ছেলের ম্যাচের মতো একতরফা হয়নি।

ইত্তিহাদও খেলেছে সমানতালে। তবে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর আল নাসর ম্যাচ জিতেছে ১০-৯ গোলে। যেখানে আল নাসরের ১০ গোলের সব কটিই এসেছে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের কাছ থেকে। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪ গোল করে রোনালদোপুত্র।

আরও পড়ুনরোনালদোই ইতিহাসের সেরা.

..কে বলছেন, রোনালদো০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আর বিরতির পর তার কাছ থেকে আসে আরও ৬ গোল। রোনালদো জুনিয়রের গোলবন্যায় মাতার ঘটনা অবশ্য আকস্মিক কিছু নয়। আগের ম্যাচে আল হিলালের বিপক্ষে আল নাসরের ৭-০ গোলের জয়ে সব গোল করেছিল রোনালদো জুনিয়রই। অর্থাৎ দুই ম্যাচ মিলিয়ে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের গোল ১৭টি। অবিশ্বাস্যই বটে।

বয়সভিত্তিক দলের হয়েই মেসি-রোনালদোর পুত্রদ্বয় যেভাবে গোল করে চলেছে, সেটা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে তাদের বাবাদের কথা। তবে এই পথ ধরে মেসি–রোনালদোর পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে অনেক লম্বা পথ পেরোতে হবে এ দুজনকে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫ সিনেমার আয় ১ হাজার ৩০০ কোটি, রাশমিকাকে থামাবে কে

২০২৫ সাল রাশমিকা মন্দানার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও সাফল্যমণ্ডিত বছর। ভিকি কৌশলের বিপরীতে ব্লকবাস্টার ‘ছাবা’ থেকে শুরু করে সামালোচকদের কাছে প্রশংসিত ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ দিয়ে বছর শেষ করেছেন রাশমিকা। পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার ছবিতে কাজ করে এই বছরে নিজেকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। সম্প্রতি দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ আড্ডায় রাশমিকা জানান তাঁর সাফল্যের গল্প।

অভিনয়ের পথে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া
রাশমিকা বলেন, ৯ বছর ধরে তিনি সব সময় মনে করতেন, নিজেকে প্রমাণ করতেই হবে। আর ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমায় ভুমা দেবীর চরিত্র সেই চাপ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। ‘এই চরিত্রটা করতে গিয়ে প্রথমবার মনে হয়েছে, ঠিক আছে, আমি পারছি,’ বলেন তিনি। রাশমিকার ক্যারিয়ারে ‘অ্যানিমেল’ আর ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ছবি। তাই স্বাভাবিকভাবে ওঠে আসে সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন। রাশমিকার উত্তর সোজা, ‘প্রতিটি ছবির গল্প আলাদা। “অ্যানিমেল” একজন খ্যাপাটে মানুষকে কেন্দ্র করে বানানো একটি পুরোপুরি বাণিজ্যিক সিনেমা আর “দ্য গার্লফ্রেন্ড” এক দ্বিধাগ্রস্ত নারীর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা। দুটোই থাকা জরুরি, কারণ দুটোই বাস্তব।’

রাশমিকা জোর দিয়ে বলেন, এমনকি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও তাঁর করা ‘গীতাঞ্জলি’ চরিত্রটি কোনোভাবেই দুর্বল ছিল না। ‘সে নিজের অবস্থান জানত, সে প্রতিবাদ করেছে,’ বলেন রাশমিকা। অভিনেত্রীর মতে, প্রায় সব ছবিতেই তিনি শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমায় রাশমিকা। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ