রাজধানীর শ্যামলীতে হোসেন হাউজিংয়ে বর্ণিল বসত মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এই মেলা শেষ হবে আগামী শনিবার।

এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় হোসেন হাউজিংয়ের এঞ্জেলিক ভবনের দোতলায় কমিউনিটি হলরুমে।

উদ্বোধনী পর্বে বক্তৃতায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের মহাব্যবস্থাপক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এ জেড এম তানভীর আহমদ বলেন, প্রথম আলোর সহযোগিতায় আবাসন খাতে ব্যতিক্রমী এই মেলায় আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যতিক্রমী এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শ্যামলীতে হোসেন হাউজিংয়ে বসত মেলায় স্থাপিত প্রথমার স্টলে বই দেখছেন তাঁরা। ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ম ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তি অবিলম্বে প্রকাশের দাবি সিপিবির

শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের করা ‘গোপন চুক্তির’ পূর্ণাঙ্গ বিবরণ অবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)।

বিবৃতিতে সিপিবির শীর্ষ নেতারা বলেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসাধারণকে অন্ধকারে রাখা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংবিধানপরিপন্থী। দেশের জনগণ জানতে চায়, কোন বিষয়ে কতটা ছাড় দিয়ে এবং কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

এই চুক্তি নিয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে উদ্বেগ, সংশয় ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই উদ্বেগ সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। বিশেষ করে যখন ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের’ আওতায় অনেক তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, তখন সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

অবিলম্বে চুক্তি প্রকাশ করে দেশের জনগণের সংশয় সরকারকে দূর করতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, এই তথাকথিত ছাড়ের বিপরীতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম ও এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কিনতে হবে। ২৫টি বোয়িং বিমান কিনতে হবে। ১১০টি মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের খনিজ সম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হচ্ছে।

সিপিবির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, জনগণ ও সংসদে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের ‘গোপন চুক্তি’ সম্পাদনের কোনো নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ