সকালেও বাড়ির উঠানজুড়ে দস্যিপনা করে ছুটেছে দুই বছরের শিশুটি। তাকে সেখানে খেলতে দিয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা। কিছুক্ষণ পরই পানিভর্তি একটি বালতি থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আছিয়া (২) নামের শিশুটি ওই এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সবার অগোচরে শিশুটি খেলতে খেলতে বাড়ির আঙিনার কোনায় থাকা টিউবওয়েলের পাড়ে চলে যায়। সেখানে একটি বালতিতে পানি ভরা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পানি নিয়ে খেলার একপর্যায়ে বালতিতে পড়ে ডুবে যায় শিশুটি। শিশুটিকে আঙিনায় আর দেখতে না পেয়ে তার মা টিউবওয়েলের পাড়ে ছুটে যান। এ সময় শিশুটিকে বালতির পানি থেকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘বালতির পানিতে ডুবে ওই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এই বয়সের শিশুরা যখন নতুন হাঁটতে শেখে, তখন তাদের চোখের আড়াল করা ঠিক নয়। পরিবারের সদস্যেরা একটু সচেতন হলেই এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ