ক্র্যাবের নতুন সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশা
Published: 10th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা টিভির এম এম বাদশা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এবার ভোটার ছিলেন ২৯৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৮৬ জন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু তাহের। ক্র্যাবের সদস্য আহমদ আতিক ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব। নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫।
সভাপতি পদে মির্জা মেহেদী তমাল ১২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুগান্তরের মাহবুব আলম লাবলু পেয়েছেন ৯৫ ভোট। একই পদে দেশ রূপান্তরের সরোয়ার আলম পেয়েছেন ৪৯ এবং দৈনিক পূর্বকোণের আসাদুজ্জামান বিকু পেয়েছেন ১২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে এম এম বাদশা ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ১০৪ ভোট।
সহসভাপতি পদে ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উমর ফারুক আলহাদী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান (মাসুম মিজান) পেয়েছেন ১২০ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে নিয়াজ আহমেদ লাবু ১৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল লতিফ রানা পেয়েছেন ১০২ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ১৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাজ্জাদ মাহমুদ খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফ বাবলু পেয়েছেন ৯৪ ভোট এবং খন্দকার হানিফ রাজা পেয়েছেন ২৯ ভোট।
কল্যাণ সম্পাদক পদে ১৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো.
কার্যনির্বাহী সদস্যের তিনটি পদে ২০৩ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন জিয়া খান, ১৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ইমরান রহমান ও ৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোহাম্মদ জাকারিয়া।
এ ছাড়া এবার দপ্তর সম্পাদক পদে ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. জসীম উদ্দীন এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে হাবিবুল্লাহ মিজান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ড এখনো পুলিশের জিম্মায়, আছে পাহারায়
পাঁচ বছর হয়ে গেছে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বিশ্বকে।
ম্যারাডোনার মৃত্যু খুলে দেয় এক অস্বস্তিকর অধ্যায়ও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তিকে সমাহিত করা হয় তাঁর দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছাড়াই।
ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর হৃদ্যন্ত্রসহ যকৃৎ, কিডনির মতো আরও কিছু অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ড এখনো পুলিশের জিম্মায়।
দিয়ারিও এএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস প্রাদেশিক পুলিশের প্যাথলজি দপ্তরে ফরমালিনে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে অঙ্গটি। এর ওজন ছিল ৫০৩ গ্রাম, যা স্বাভাবিক একটি হৃৎপিণ্ডের প্রায় দ্বিগুণ। আগের বেশ কয়েকটি মাইক্রো-ইনফার্কশনের (রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া মৃত কোষ) দাগও ছিল তাতে। তদন্তে অঙ্গটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়েছিল।
হৃৎপিণ্ডের প্রতীকী গুরুত্বের কারণেই বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগীয় নথিতে উল্লেখ আছে—কিছু গোষ্ঠী এটিকে স্মারক হিসেবে চুরি করার পরিকল্পনা করেছিল। তখনই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যারাডোনার মরদেহের সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রটি সমাহিত করা হবে না।
বর্তমান সংরক্ষণ প্রটোকল অনুযায়ী, কমপক্ষে ১০ বছর অঙ্গটি পুলিশের সুরক্ষায় রাখতে হবে। এরপর পরিবারের মতামত, আদালতের নির্দেশনা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে—হৃদ্যন্ত্রটি শেষ পর্যন্ত ম্যারাডোনার কবরেই রাখা হবে কি না।
ম্যারাডোনার সমাধি বুয়েনস এইরেসের হারদিন বেয়া ভিস্তা সমাধিক্ষেত্রে মা–বাবার পাশে।