বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ভালোবেসে ঘর বেঁধেছে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে। এ সংসারে আরাধ্য নামে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। রুপালি পর্দায়ও অনেকবার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক। তার পরবর্তী সিনেমা ‘বি হ্যাপি’। এ সিনেমার গল্পও বাবা-মেয়েকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে।

সিনেমাটির প্রচারে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছেন অভিষেক। বাবা-মায়ের ভূমিকাও ব্যাখ্যা করেছেন। এক পর্যায়ে অভিষেক জানান— বাবা-মা সন্তানের বন্ধু হতে পারেন না।

অভিষেক বচ্চন বলেন, “অনেক সময় আমরা ভুলে যাই, একজন বাবা কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, পুরুষরা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো না। এটি তাদের বড় একটি দুর্বলতা। তাদের খুব নীরবে যেকোনো দায়িত্ব বা চাপ গ্রহণ করে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।”

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রী সৌন্দর্যের মৃত্যুর ২১ বছর পর মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা

শ্রীলীলা-কার্তিকের প্রেম, গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন অভিনেতার মা

সন্তানের কাছে বাবা কখনো মায়ের বিকল্প হতে পারেন। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাবা কখনো মায়ের বিকল্প হতে পারে না। নারীরা উচ্চতর জাতি। কিন্তু একজন বাবার কাজকে অবহেলা করা উচিত নয়। মাঝে মাঝে বলা উচিত— বাবা হয়তো একজন মায়ের তুলনায় কিছুই না, কিন্তু তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।”

বাবা-মা সন্তানের বন্ধু হতে পারেন না। এ তথ্য জানিয়ে অভিষেক বলেন, “সন্তানের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া উচিত। কিন্তু আপনি আপনার সন্তানের বন্ধু হতে পারবেন না। আপনি তাদের বাবা-মা। আপনি তাদের লালন-পালন, সুরক্ষা এবং তাদের পথ দেখাবেন। আপনাকে যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে, যাতে তারা আপনার উপর আস্থা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আপনি প্রথম ব্যক্তি যাকে তারা ফোন করার কথা ভাববে, দিন শেষে আপনিই তাদের বাবা-মা।”

রেমো ডি’সুজা নির্মিত ‘বি হ্যাপি’ সিনেমায় সিঙ্গেল বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন— নোরা ফাতেহি, নাসের, ইনায়েত ভার্মা, জনি লিভার প্রমুখ। আগামী ১৪ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে

আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘দেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে নারীসমাজকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। আমি বাংলাদেশের মা-বোনদের আহ্বান জানাই, আপনারা সচেতন ও সজাগ থাকুন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পটভূমিতে নারীসমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে উল্লেখ করে সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া উচিত, তেমনই একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে যেসব পরিবার আপনজন হারিয়েছে, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এসব পরিবারে একজন পুরুষ সদস্যের মৃত্যুর পর একজন নারী যেভাবে প্রতিদিন সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, তা এক অনবদ্য সংগ্রাম।

নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির মূলধারার বাইরে রেখে কখনোই নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। নারীশক্তিকে কর্মপরিকল্পনার বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্রই এগিয়ে যেতে পারে না। তিনি বলেন, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে সবাইকে শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে।

নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, নারীদের স্বাবলম্বী করা গেলে বৈষম্য কমবে, পারিবারিক সহিংসতাও রোধ হবে। তাই বিএনপির স্লোগান হচ্ছে—‘ক্ষমতায়িত নারীশক্তি, পরিবারের মুক্তি।’

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে প্রান্তিক ৫০ লাখ পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করবে। এই কার্ড নারীদের নামে ইস্যু করা হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক পরিবারগুলোকে প্রতি মাসে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক বা খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে এবং পরিবারগুলো ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হবে।

তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে সভায় একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এই তথ্যচিত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান তুলে ধরা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফরোজা খানম বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে সাহসী ভূমিকা রেখেছে নারীসমাজ।

যাঁরা রক্ত-অশ্রু ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, সেই নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তাজমেরি এস এ ইসলাম ও তাহসীনা রুশদির, বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম, টক শো উপস্থাপক হাসিনা আখতারের ধারণ করা বক্তব্য সভায় প্রচার করা হয়। সভার সঞ্চালক ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজিটাল মেশিনে ওজন নিন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীর রাজনীতি না করার ঘোষণা
  • যেসব মালিক ব্যাংকঋণ নিয়ে পালিয়েছেন, সেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে: শ্রম উপদেষ্টা
  • ভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি
  • প্রলোভনের এই যুগে নিজেকে রক্ষার উপায়
  • নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে