সিনেমা ছাড়বো কিন্তু এখন না, দুই-তিন বছর লেগে যাবে: বর্ষা
Published: 24th, March 2025 GMT
কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি জানান, পরিবারের কথা চিন্তা করে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিনেমা ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে নায়িকা বলেন, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানান। আবার কারো মন্তব্যে সমালোচনার সুরও শোনা যায়।
যে কারণে বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন বর্ষা। এবার অভিনেত্রী জানালেন, এখনই অভিনয় ছাড়ছেন না তিনি। হাতে কিছু ছবি রয়েছে, সেগুলোর কাজ শেষ করে পরেই অভিনয়কে বিদায় জানাবেন।
বর্ষ জানান, তাঁর হাতে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’, ‘মাসুদ রানা’, ‘কিল হিম-২’ নামের তিনটি ছবি আছে। ছবিগুলোর শুটিং শেষ করে নতুন আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন না তিনি।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘তিনটি সিনেমা শেষ করতে সময় লাগবে। সিনেমা ছাড়বো কিন্তু এখন না। এসব সিনেমার শুটিং করতে অনেকদিন লেগে যায়। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। এগুলো শেষ হলে আর সিনেমা করব না।’
বর্ষা জানালেন, এখন থেকে পরিবারকেই বেশি সময় দিতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আর্দশ মা হতে চাই। আমাদের দায়িত্ব তাদের সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া।’
২০১০ সালে ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক হয় বর্ষার। এতে অনন্ত জলিলের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। এরপর তারা জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘দিনঃ দ্য ডে’, ‘কিল হিম’সহ কয়েকটি সিনেমায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘৫০ বছরে একবার জন্মায় এমন প্রতিভা’ — ইয়ামালকে নিয়ে ইনজাঘি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, তা যেন প্রমাণ করে চলেছেন বার্সেলোনার তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামাল। গত রাতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে দুর্দান্ত এক গোল করে নিজের জাত চেনালেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এস্তাদি অলিম্পিক লুইজ কোম্পানিস স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মাত্র ২১ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। তবে বার্সেলোনা হাল ছাড়েনি। ২৪ মিনিটে পাঁচজন ডিফেন্ডারকে চমৎকারভাবে কাটিয়ে গোল করে ব্যবধান কমান ইয়ামাল।
গোলটি দেখে মুগ্ধ ইন্টার কোচ সিমিওন ইনজাঘি ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ইয়ামাল এমন এক প্রতিভা, যে প্রতি ৫০ বছরে একবার জন্মায়। তাকে কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমরা তাকে থামাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।’
শুধু এক গোলেই থেমে থাকেননি ইয়ামাল। পুরো ম্যাচজুড়ে ইন্টারের রক্ষণদেয়ালকে নানাভাবে ভুগিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘ইয়ামাল সত্যিই বিশেষ এক প্রতিভা। বড় মঞ্চে তার ঝলক আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সিমিওনের বক্তব্য যদি সত্যি হয় যে এমন খেলোয়াড় ৫০ বছরে একজন আসে, তাহলে আমাদের সৌভাগ্য তাকে পেয়েছি।’
ম্যাচের একটি গোল ছিল আত্মঘাতী। ৬৫ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে, বলটি ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের পিঠে লেগে জালে ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে, ইন্টারের তিনটি গোলেই অবদান ছিল ডাঞ্জেল ডামফ্রিসের—দুটি নিজে করেন, আর একটি করান ম্যাচের ১ মিনিটেই মার্কাস থুরামকে দিয়ে।
আগামী ৬ মে সান সিরোতে হবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। সেই ম্যাচেই নিশ্চিত হবে ফাইনালে কারা জায়গা করে নিচ্ছে।