তুরস্কে এরদোয়ানবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কী ভাবছে সাধারণ মানুষ
Published: 27th, March 2025 GMT
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশটির নানা শহরে প্রতিদিনই রাজপথে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ করছেন হাজারো মানুষ। গত রোববার পৌর সদর দপ্তরের বাইরে সারাচান চত্বরে এসব বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয়েছিল কাঁদানে গ্যাসের শেল। বাতাসে দীর্ঘ সময় সেই গন্ধ ছিল।
তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারের আগে ১৯ মার্চ আটক করা হয়। যেদিন এই জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই দিনই তাঁকে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)। তখন থেকে তুরস্কের প্রধান শহরগুলোতে প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা এখন দীর্ঘদিনের শাসক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
ইমামোগলুর সমর্থকেরা মনে করেন, তাঁকে গ্রেপ্তার এবং দায়িত্ব থেকে সরানোর মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা আরও পোক্ত করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
কিন্তু এরদোয়ান সরকার ও তাঁর সমর্থকদের দাবি, বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে আটক–পরবর্তী গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৮ বছর বয়সী সিনার ইলেরি নিজেকে ‘নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক’ মনে করেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি কোনোভাবেই ইমামোগলুকে সমর্থন করি না। আমি তাঁকে ভোট দিইনি। কিন্তু আমি মনে করি, যা হয়েছে তা যেকোনো রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায়। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে যে আইনি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, তা সাদামাটা কোনো আইনি মামলা নয়, এটা রাজনৈতিক মামলা।’
তুরস্কের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলজুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ পৌরসভাগুলোকে জর্জরিত করে তুলেছে। দেশটির পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে দুর্নীতির এই চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি দমনের জন্য নজরদারি ও জবাবদিহির যে ব্যবস্থা ছিল, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অনেকে মনে করেন, সরকার যে এখন বিরোধীদলীয় নেতাদের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, তাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দৃশ্যপট ঢেলে সাজাতেই কর্তৃপক্ষ এসব কিছু করছে।
বিক্ষোভের সময় মোবাইলের ফ্ল্যাশ বাতি জ্বালিয়ে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। ইস্তাম্বুলে, ২৫ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ব দ ত রস ক র এরদ য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ের আলোচিত চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ভোটবিহীন আলোচিত ও সমালোচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের আমলে নৌকা প্রতীক পাওয়া ঐ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে। লয়ন বাবুল চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন।
একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, বারদী ইউনিয়নে আসতে হলে শেখ হাসিনাকেও তার অনুমতি নিতে হবে। তিনি ওই ইউনিয়নের সরকার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এছাড়া নানা সময় বিভিন্ন মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে সমালোচনার মুখে পড়েন।