আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগেই হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির চাকরি যাচ্ছে এই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ৫-১ গোলের হারের পর তা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এবার সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ডন কার্লোর বিদায়ের ওই ঘণ্টা বেজে গেছে। কবে ছাঁটাই হবেন ওই দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

সংবাদ মাধ্যম স্কাই স্পোর্টস দাবি করেছে, আগামী সপ্তাহেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতে যাচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির। যার অর্থ কোপা দে রে ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন
এই ইতালিয়ান বস। 

স্কাই স্পোর্টসের মতে, ওই পরীক্ষায় পাস করলেও চাকরি হারাবেন সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি ও এভারটন কোচ আনচেলত্তি। লস ব্লাঙ্কোস শিবির ছাড়ার আগে কিছু একটা জয়ের এটাই ইতালিয়ান কোচের জন্য শেষ সুযোগ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

এপ্রিলেই কার্লো আনচেলত্তির চাকরি গেলে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার জন্য অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি। কোচ হিসেবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজের প্রথম পছন্দ আনচেলত্তি। কিন্তু তাকে জুলাইয়ের আগে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এখন তাকে মে’র শুরুতেই পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

গোলসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, আর্সেনালের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হারের পর কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য এজেন্ট পাঠিয়েছে ব্রাজিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেলেসাওদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে ডন কার্লোর সঙ্গে আলোচনা করবেন সিবিএফ কর্তৃপক্ষ। তিনি মে’তে দায়িত্ব নিতে রাজি হলে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হবে। এর আগে আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুসকে ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ হিসেবে এগিয়ে রাখা হয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পূজা আর পূজারার গল্প: এক ক্রিকেটারের স্ত্রীর ডায়েরি

একজনের নাম চেতেশ্বর পূজারা, যাঁর ক্যারিয়ার আর জীবনটাকে অনেকেই দেখেছেন টিভি পর্দায়। ভারতীয় টেস্ট দলের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। ধৈর্যের প্রতিমূর্তি। একের পর এক শরীরের ওপর বল নিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছেন দলের জন্য।
ঠিক তাঁর পাশেই থাকেন আরেকজন, যিনি এসব দেখে লিখে রাখতেন চুপি চুপি—পূজা পূজারা, চেতেশ্বরের স্ত্রী। সেই ডায়েরির পাতাগুলো একসময় হয়ে উঠল একটি বই ‘দ্য ডায়েরি অব আ ক্রিকেটার্স ওয়াইফ’। বইটি প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।

বিয়ের আগে ক্রিকেট নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না পূজার। চেতেশ্বরের নামও শোনেননি। বিয়ের পর প্রথমে আগ্রহ, পরে ভালোবাসা, আর শেষমেশ একটা অভ্যাস হয়ে যায় ক্রিকেট—খুব কাছ থেকে দেখা, শোনা, বুঝে ফেলা। এমবিএ শেষ করে করপোরেট চাকরি করতেন পূজা, পছন্দও করতেন সেটা। কিন্তু বিয়ের পর সেটি ছেড়ে দেন। তাঁদের প্রথম কন্যা যখন তিন বছরের, তখন আবার কাজে ফেরার ইচ্ছা জাগে। তবে তত দিনে চেতেশ্বরের ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ব্যস্ততা এত বেশি ছিল যে পূর্ণকালীন কোনো কাজ করা সম্ভব ছিল না।

পুজা পুজারার বই ‘দ্য ডায়েরি অব আ ক্রিকেটার্স ওয়াইফ’

সম্পর্কিত নিবন্ধ