অভিনয় ছেড়ে দূরদেশে, মৌসুমীর নীরব বিদায়!
Published: 4th, May 2025 GMT
প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী— বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন, বারবার তার নাম উঠে এসেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ আসনে। অভিনয়, পরিচালনা, প্রযোজনা— তিন ক্ষেত্রেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। অথচ আজ তিনি আড়ালে, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে নিজের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন।
ওমর সানী জানালেন, দেশে ফেরা এখন মৌসুমীর জন্য সম্ভব নয়। মেয়ে ফাইজার পড়াশোনা আর অসুস্থ মায়ের সেবাই এখন তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। সানীর কথায়, “মেয়েকে একা রেখে দেশে ফেরার প্রশ্নই ওঠে না।”
শুধু পারিবারিক দায় নয়, চলচ্চিত্রের বদলে যাওয়া জগত নিয়েও রয়েছে তার নীরব হাহাকার। সানী বলেন, “মৌসুমীর অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা আর নেই। সে আমাকে বলেছে, ‘সানি, আমি ভুলে যেতে চাই আমি মৌসুমী ছিলাম।’ এই কথাটা বুকের ভেতর গুমরে ওঠা কষ্টের মতো।”
আরো পড়ুন:
শ্রদ্ধার আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক
শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার স্টান্টম্যানের মৃত্যু
নতুন প্রজন্মের তারকাদের সৌজন্যবোধের অভাবেও তিক্ত করে তুলেছে এই গুণী দম্পতির মন। সানীর অভিমানী উচ্চারণ, “যারা আজ সিনেমা জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা ভাবেন তারা মৌসুমীর চেয়েও বড় তারকা। এই ফারাক শুধু প্রজন্মের নয়, এ যেন মূল্যবোধেরও গভীর বিভাজন।”
তবু সুদূর বিদেশের মাটিতেও থেমে যাননি মৌসুমী। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড অ্যান্ড ফেস্টিভ্যালে’ একটি গানে পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে— বাংলাদেশ তার রক্তে, সংস্কৃতি ধারণ করেন।
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে শুরু হয়েছিল মৌসুমীর পথচলা। সালমান শাহর বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন। তারপর একের পর এক হিট সিনেমা, জাতীয় পুরস্কার আর দর্শকদের ভালোবাসায় গড়া ইতিহাস। অথচ আজ সেই নায়িকা নিজেই তার অতীতকে ভুলে যেতে চান। এ যেন শুধু মৌসুমীর নয়, রূপালি পর্দার এক গৌরবোজ্জ্বল যুগের নীরব অবসান।
অন্যদিকে ওমর সানী এখনো অভিনয় দুনিয়া পুরোপুরি ছাড়েননি। সময় ও সুযোগ পেলেই আবার ফিরতে চান প্রিয় পর্দায়। তবে এই মুহূর্তে যুক্ত হয়েছেন একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে, জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন এই নায়ক।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদ তিতুমীর একাডেমী ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করলো ফতুল্লা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ তিতুমীর একাডেমি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি.এম. রাহসিন কবির এবং বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাহসিন কবির বলেন, ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি বলবো, এবং আপনারা জেনে রাখবেন ধুমপান থেকে মাদকের শুরু, প্রতিষ্ঠানের সামনে কেউ যদি বিশৃঙ্খল করে এজন্য ৯৯৯ এ যোগাযোগ করবেন, আমরা ১ ঘন্টার মধ্যে ব্যাবস্থা নিবো।
মাদক মরনব্যধী, এটাকে মূলোৎপাটন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কারন এই সমাজ মাদকের রাহু গ্রাসে শেষ হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এজন্য তোমাদেরকে প্রথমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে এদেশকে আমরা নতুন করে সাজানোর সুযোগ পেয়েছি।
তাই দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে,এটা আমার প্রত্যাশা।সর্বোপরি তোমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষাবিদ মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের যখন কোনো উপায় ছিলো না,তখন তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার অবদান ছিল. ঠিক তেমনি তিতুমীরের সেই অবদানকে কাজে লাগাতে পারলে তোমরা স্বার্থক হবে।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন,ছাত্রদের ৩৬ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে,ছাত্রদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে জুলুম, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই দেশকে ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো তৈরী করতে ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,কাজে কর্মে পড়াশোনায় তোমরা এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।তিনি উপস্থিতি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যদি দেশ গঠনে মনোনীত হতে পারি,তাহলে নেতা হিসেবে নয় আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।
উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সফি উদ্দিন আহমেদ বাদল,ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শহীদ তিতুমীর একাডেমির অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন আহামদ,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক খান,আই,ই,টি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলমগীর কবির,এডভোকেট মনিরুজ্জামান শাহীন,এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, জাহাঙ্গীর কবির পোকন,নাজনীন জাহান প্রমূখ।