আমেরিকার বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধিকে এ ধরনের শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দায়িত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই শুল্ক কীভাবে কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়। 

সোমবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রবিবার (৪ মে) নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “অন্যান্য দেশ আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। হলিউড এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং তাই এটি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। এটি বার্তা এবং প্রচারণাও বটে!”

আরো পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র

নির্বাচনে জিতেই ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

ট্রাম্প আরো বলেন, “আমরা এখন খুব কম চলচ্চিত্র তৈরি করছি। অন্যান্য দেশ আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প চুরি করেছে। যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্র তৈরি করতে না চায়, তাহলে তাদের চলচ্চিত্রের ওপর শুল্ক আরোপ করা উচিত।”

চলচ্চিত্রের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার আগে ট্রাম্প সিলভেস্টার স্ট্যালোন, মেল গিবসন ও জন ভয়েটকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। তাঁরা হলিউডের হারানো ব্যবসা ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়। ট্রাম্প বলেন, “তারা আমার বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করবেন। এর উদ্দেশ্য হলো হলিউডকে ফিরিয়ে আনা, যেটি গত চার বছরে বড় ধরনের ব্যবসা হারিয়েছে।”

চলচ্চিত্র শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রডপ্রোর মতে, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা তৈরির কেন্দ্র।

তাদের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটি গত বছর চলচ্চিত্র তৈরিতে ১৪.

৫৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। যদিও ২০২২ সালের পর থেকে তা ২৬ শতাংশ কম।

প্রতিবেদন অনুসারে, একই সময়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে বিনিয়োগ বাড়ানো দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য।

সাম্প্রতিক এই ঘোষণার আগেও, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির প্রভাবে মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্প প্রভাবিত হয়েছিল।

গত মাসে চীন জানায়, তারা দেশে অনুমোদিত মার্কিন চলচ্চিত্রের কোটা কমিয়ে দিচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র চলচ চ ত র র চলচ চ ত র চলচ চ ত র র শ ল ক আর প র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানি শিল্পকলাকে প্রভাবিত করেছে আণবিক বোমা

আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে জাপানের হিরোশিমা নগরে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আণবিক বোমা হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা হামলার ঘটনা দেশটির শিল্পকলাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। দেশটির চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন সিরিজে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর বিকিরণ অসুস্থতার মর্মান্তিক চিত্রায়ণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত ৮০ বছরে ধ্বংস ও রূপান্তরের গল্পগুলো জাপানের মানুষের ভয়ের সঙ্গে মিশে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সাম্প্রতিক ফুকুশিমা সংকটের বিষয়গুলো। এমনই চিত্র দেখানো হয়েছে গডজিলা চলচ্চিত্রে।

ধ্রুপদি মাঙ্গা ও অ্যানিমে সিরিজ অ্যাস্ট্রো বয়তে দেখানো হয়েছে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য। জাপানি ভাষায় এ সিরিজ ‘মাইটি অ্যাটম’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে আকিরা, নিওন জেনেসিস ইভ্যাঞ্জেলিয়ন এবং অ্যাটাক অন টাইটান-এর মতো সিরিজে শহর ধ্বংসকারী বিস্ফোরণের চিত্রায়ণ করা হয়েছে।

অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক উইলিয়াম তসুতসুই বলেন, ‘মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে বেঁচে থাকা’ এবং ‘আঘাত কাটিয়ে ওঠা’ এই থিমটি জাপানের সাংস্কৃতিক মনোভাব প্রকাশে বারবার ফিরে আসতে দেখা যায়, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।

হিরোশিমায় আণবিক বোমা ফেললে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কয়েক দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে আরেকটি বোমা হামলায় প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। লেখক ইয়োকো তাওয়াদা বলেছেন, কিছু কবিতায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তের নিখাদ ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। তবে অনেক উপন্যাস ও শিল্পকর্মে এ বিষয়টি পরোক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ